শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু, নিখোঁজ ১

59

বাঁশখালী উপজেলা থেকে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া ওরশে যাওয়ার পথে পৃথক দুটি নৌকা ডুবে শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এখনো নিখোঁজ আছেন আব্দুল জালাল নামে একজন। গতকাল বুধবার সকালে বাঁশখালী উপজেলার কাথারিয়া জলকদর খালে এবং বঙ্গোপসাগরের গন্ডামারা মোহনায় নৌকাডুবির ঘটনা দুটি ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও স্থানীয়রা উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেন।
যে তিনজনের লাশ পাওয়া গেছে তারা হলেন- বাঁশখালীর কাথারিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বাগমারা গ্রামের ছমিয়া বাপের বাড়ির মৃত রৌশুনুজ্জামানের পুত্র মোহাম্মদ আক্কাস (২৮) ও আইদ্দারখীলের আমান উল্লাহর ছেলে মো. মিনহাজ (৯)। বঙ্গোপসাগর মোহনায় ডুবে যাওয়া ট্রলারে খানখানাবাদ ইউনিয়নের আব্দুল মালেক (৫০)। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন খানখানাবাদের আব্দুল জালাল (৩২)। এ দুটি ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৫ জন। আহতদের মধ্যে দক্ষিণ বাগামারা গ্রামের মো. বাবুল (৪০) ও আলী আকবর (১০) নামে দুইজনকে উদ্ধার করে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, ‘বাঁশখালীর কাথারিয়া ও খানখানাবাদ থেকে পৃথক দুটি নৌকায় করে দু’দল লোক কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় মালেক শাহ’র ওরশ মাহফিলে যাচ্ছিলেন। এর মধ্যে খানখানাবাদের যাত্রীবাহী ট্রলারটি বঙ্গোপসাগরের গন্ডামারা কুতুবুদিয়া চ্যানেলের মোহনায় ডুবে গেলে দুইজনের মৃত্যু হয়। অপর ট্রলারটি কাথরিয়ার চুনতি বাজার এলাকায় ডুবে যায়। ডুবে যাওয়ার সময় লাফিয়ে খালে পড়ে সাঁতার কেটে অনেক যাত্রী তীরে উঠতে সক্ষম হন। পরে স্থানীয়রা দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেন। দুই ঘটনায় তিনজনের লাশ পাওয়া গেছে। একজন নিখোঁজ রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, কুতবুদিয়া দরবার শরীফের ওরশে যাওয়ার জন্য কাথারিয়ার চুনতি বাজার থেকে স্থানীয় মৃত মো. ইউসুফ এর পুত্র মো. জাহিদুল ইসলাম নিজের মালিকানাধীন মাছধরা ট্রলারটি চালিয়ে প্রায় দেড় শতাধিক যাত্রী নিয়ে রওনা দেন। চুনতি বাজার এলাকা থেকে ট্রলারটি কিছুদূর যেতেই ডুবে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসসহ স্থানীয়রা এসে উদ্ধার অভিযান চালায়। ডুবে যাওয়া মাছধরার ট্রলারটিও উপকূলে তুলে আনা হয়েছে। একইভাবে খানখানাবাদের কদমরসুল এলাকা থেকে রওনা হওয়া আরেকটি ট্রলার গন্ডামারা-কুতুবদিয়া চ্যানেল এলাকায় গিয়ে বঙ্গোপসাগরে ডুবে যায়।
বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিটন বৈষ্ণব জানান, খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিক কাথারিয়ার ঘটনাস্থলে যাই। দীর্ঘক্ষণ ধরে উদ্ধার অভিযান চালানো হয়েছে। একজন নিখোঁজ শিশুকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল এসে উদ্ধার করে।
খানখানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বদরুদ্দীন চৌধুরী পূর্বদেশকে বলেন, ‘ট্রলার ডুবির ঘটনায় দুইজনের মৃত্যুর খবর শোনা গেলেও জালাল নামে একজনের লাশ এখনো উদ্ধার হয়নি। কদমরসুল এলাকায় আমরা তার বাড়িতে পুলিশসহ অবস্থান করছি। এ দুর্ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’