শিল্পপতি হলেই হবে না, মাস্টার আবুল কাসেমের মত মন থাকতে হবে

49

মাস্টার আবুল কাসেম জমি দান করায় দশ শয্যার হাসপাতাল করা সম্ভব হচ্ছে। আজ সমাজে বড় লোক ও শিল্পপতির অভাব নাই, কিন্তু দান করার মন-মানসিকতা লোকের অভাব। তাই সমাজে শিল্পপতি হলেই হবে না, মাস্টার আবুল কাসেমের মত মন এবং দান করার মন থাকতে হবে, উনি জায়গা দিয়েছে, আর সরকার সরকারি খরচে হাসপাতাল নির্মাণ করছেন। গত সোমবার উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুর এলাকায় স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বাস্তবায়নে বানু-মুনাফ মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তরকালে এতে প্রধান অতিথি থেকে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন শ্রম, প্রবাসি কল্যাণ ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ দিদারুল আলম এমপি। তিনি আরো বলেন, এ হাসপাতালটি মুজিব বর্ষ উপলক্ষে সীতাকুন্ডবাসির জন্য জননেত্রী শেখ হাসনিার উপহার। এ হাসপাতালে সীতাকুন্ডের মা ও শিশুদের চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি বিশেষ করে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারি নৃ-গোষ্ঠী ত্রিপুরা এলাকার মা ও শিশুদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেবা প্রদান করা হবে।
সম্মানীত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জমি দাতা শিল্পপতি ও শিপব্রেকার্স মাস্টার আবুল কাসেম ও উনার পিতা যার নামে হাসপাতাল নামকরণ আলহাজ আবদুল মুনাফ। এ সময় অতিথি ছিলেন হেলথ ইঞ্জিনিয়ার ডিপাটমেন্ট প্রকল্পের এক্সজিকিটিভ মো. ফারুক আহাম্মেদ, উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা মিল্টন রায়, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. মনির আহাম্মেদ, নুরুল আলম চৌধুরী, আলহাজ মো. ইদ্রিস, মো. বেলাল উদ্দিন, নুর মোহাম্মদ তারাকি, ঠিকাদার মো. জসিম উদ্দিন ও সাবেক মুরাদপুর ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বাহারসহ প্রমুখ। জমিদাতা মাস্টার মোহাম্মদ আবুল কাসেম বলেন, সোনাইছড়ি ইউনিয়নে আমার জন্ম। কিন্তু ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পূর্বে কোন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র নেই। পাহাড়ে থাকা নৃ-গোষ্ঠিসহ স্থানীয় গবীর অসহায় পরিবারের নারী শিশুরা অর্থ অভাবে স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমার বাবা আলহাজ আবদুল মোনাফ অনেক সময় বিষয়টি অনুধাবন করে আমাকে বলতে এ এলাকার গবীর অসহায় লোকদের জন্য একটি হাসপাতাল করতে। স্থানীয় চেয়ারম্যান মনির আহমেদ হাসপাতাল নির্মাণের বিষয়টি আমাকে জানালে আমি ৫১ শতক জায়গা হাসপাতালের জন্য দান করি।
রেজিস্ট্রারি খবর চেয়ারমান দেওয়া জন্য বললেও আমি নিজ খরচে জমি রেজিস্ট্রারি করে দেই। এ বিষয়ে সীতাকুন্ড উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মিল্টন রায় বলেন, উদ্বোধনকৃত হাসপাতালে অধুনিক সব সেবা দেওয়া হবে। দুইজন ডাক্তার ও ১৫ জন সেবক থাকবেন। থাকবে অ্যাম্বুলেন্স সুবিধাও। গর্ভবতী মা, প্রসব পরবর্তী সেবা, কিশোর কিশোরীদের সেবাসহ সকল ঠিকা এখান থেকে দেওয়া হবে। মূলত ত্রিপুরা পল্লীতে নৃ-গোষ্ঠি ১১ শিশু মারা যাওয়ার পর পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর এই হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নেন। এতে পাহাড়ে থাকা সকল নৃ-গোষ্ঠি নারী ও শিশুদের পাশাপাশি সকলকে স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া হবে।