শিকলবাহায় লাশ দাফন নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ

158

কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহায় বিরোধপূর্ণ জায়গায় মোহাম্মদ শাহ আলম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির লাশ দাফনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে চারজন আহত হয়েছেন। তারা হলেন, রেজাউল করিম পিন্টু (৪৫), মোহাম্মদ টিপু (৩৫), মোহাম্মদ ইলিয়াছ (৪৮) ও আতাউর রহমান (২৮)।
গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় শিকলবাহার ৭ নং ওয়ার্ডস্থ আবু মাঝির বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পরে পুলিশ, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান দিদারুল আলমের উপস্থিতিতে দুই পক্ষের মধ্যে লিখিত সমঝোতা শেষে মৃত ব্যক্তির জানাজা ও দাফন হয়।
স্থানীয় শিকলবাহা ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম জানান, বিরোধপূর্ণ জমিতে মৃত শাহ আলমের ওয়ারিশরা লাশ দাফনের চেষ্টা করে। ওই জমি নিয়ে বিরোধ মিমাংসার জন্য দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করা হয়। কিন্তু শাহ আলম এবং তার ওয়ারিশরা এতে সাড়া দেননি। শাহ আলমের মৃত্যুর পর কবরস্থান না হলেও তার ওয়ারিশরা বিরোধীয় জমিতে লাশ দাফনের চেষ্টা করলে প্রতিপক্ষ মাহবাবুল আলমের ওয়ারিশরা তাতে বাধা দেন। ওই সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
জানা যায়, উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের আবু মাঝির বাড়ি এলাকায় দীর্ঘ বছর ধরে শাহ আলম মিস্ত্রীর সাথে পাশের মাহবুবুল আলমের বাড়ি-ভিটার জায়গা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
উল্লেখ্য, গত রবিবার রাতে শাহ আলম মিস্ত্রি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান।
এদিকে সকালে মৃত শাহ আলমের স্বজনরা লাশ দাফন করার জন্য বিরোধপূর্ণ জায়গায় কবর খনন করেন। খবর পেয়ে প্রতিপক্ষ থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন। এরপর তারা বিরোধীয় স্থানে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষ জড়ালে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
পরে কর্ণফুলী থানা পুলিশ, কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান দিদারুল ইসলাম চৌধুরী, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান দিদারুল আলম ও শিকলবাহা ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম জানান, পুলিশের উপস্থিতিতে উভয় পক্ষ একটি চুক্তি করেন। চুক্তি অনুযায়ী বিরোধীয় জমি কাগজপত্র মুলে মাহবুবুল আলমের হলে মৃত ব্যক্তি শাহ আলমের ওয়ারিশরা সমপরিমাণ জমি অন্যত্র থেকে পূরণ দিতে বাধ্য থাকবেন। ২৩ ফেব্রæয়ারির মধ্যে বিষয়টি সুরাহা করা হবে। চুক্তির পর পুলিশের উপস্থিতিতে জানাজা এবং মৃতের লাশ দাফন করা হয়।
মাহবুল আলম জানান, প্রতিপক্ষ মুলত বিরোধীয় জমি দখল করতেই লাশ দাফনের চেষ্টা করেছিল। ওই জমিতে তারা দাবি করলেও কোন ধরনের সালিশী বৈঠকে তারা এ পর্যন্ত আসেনি।
কর্ণফুলী থানার ওসি আলমগীর মাহমুদ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।