লোহাগাড়ায় ভূঁয়া সাংবাদিককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ

75

লোহাগাড়ায় মো. সেলিম উদ্দিন (৪৫) ওরফে বাটোয়ার সেলিম নামের এক টাউট সাংবাদিক পরিচয়ে থ্রী স্টার অটো পার্টস নামের একটি দোকানে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করতে গিয়ে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। গত ২ জুলাই উপজেলার আমিরাবাদ পুরান বিওসি এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। সে উপজেলার আমিরাবাদ মল্লিক ছোবহান বেপারী পাড়ার মৃত আলী আহমদের পুত্র। সে নিজেকে বাংলা টাইমস নামের একটি অনলাইন পোর্টালের সাংবাদিক পরিচয়ে বেশ দাপটের সাথে চলাফেরা করতো। এদিকে ৫ ঘন্টা থানায় হাজতবাসের পর রাত সাড়ে ১১ টার দিকে স্থানীয় আমিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এসএম ইউনুছের জিম্মায় তাকে মুক্তি দেয়া হয় বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগী থ্রী স্টার অটো পার্টসের মালিক মো. জিয়া উদ্দিন জানান, গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার আমিরাবাদ পুরান বিওসি এলাকায় আমার মালিকানাধীন থ্রী স্টার অটো পার্টস দোকানে এসে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বাটোয়ার সেলিম নামের এক ব্যাক্তি কোন কারণ ছাড়াই ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে আমার সাথে তর্কাতর্কি শুরু করেন।
তার অযাচিত এমন আচরণে আমার দোকানের সামনে আশ-পাশের ব্যাবসায়ীসহ অনেক লোক জড়ো হলে সে কৌশলে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে উত্তেজিত ব্যবসায়ীরা তাকে গণধোলাই দেয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসেন। স্থানীয় তার আত্নীয়-স্বজন ও ইউপি চেয়ারম্যান আমাকে অনুরোধ করলে ভবিষ্যতে এ ধরণের কাজ আর করবে না মর্মে অঙ্গীকার করে ৫ ঘন্টা থানায় হাজতবাসের পর রাত সাড়ে ১১ টার দিকে স্থানীয় আমিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এস এম ইউনুসের জিম্মায় মুচলেকা নিয়ে মুক্তি দেয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে লোহাগাড়া থানার ওসি জাকের হোসাইন মাহমুদ জানান, জিয়া উদ্দিন নামের এক ব্যবসায়ীর মৌখিকভাবে চাঁদা দাবীর অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্স পাঠিয়ে সেলিম নামের এক কথিত সাংবাদিককে থানায় নিয়ে আসি। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতা ও জিম্মায় মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। জানতে চাইলে লোহাগাড়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম বলেন, সেলিম উদ্দিন নামের কোন সাংবাদিককে আমি চিনি না। আর এ নামের কেউ আমাদের লোহাগাড়া প্রেস ক্লাবের সদস্য নেই। সেলিম নামের এক টাউট কথিত সাংবাদিকের চাঁদাবাজির বিষয়টি আমি শুনেছি। তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানাচ্ছি।