লাল-সবুজের পতাকা বিক্রি করে শৈলকুপার সাজিদ

77

টগবগে যুবক সাজিদ হোসেন। বয়স সবে মাত্র ২২ বছর। পড়াশুনা করে ফাযিল (বিএ) শ্রেণিতে। বেশ কয়েক বছর ধরে জাতীয় দিবসের সপ্তাহ দু’এক পূর্বে সে তার গ্রাম ছেড়ে পাড়া-মহল্লার পথে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করে লাল-সবুজের ‘জাতীয় পতাকা’। তবে এটা তার পেশা নয়, এক ধরনের নেশা। দেশপ্রেমের উদ্বুদ্ধ হয়ে এবং পরিবারের সচ্ছলতা আনতে অল্প টাকা লাভে সে সবার হাতে তুলে দেন লাল-সবুজের পতাকা। পতাকা বিক্রি করে অর্জিত স্বল্প আয় দিয়ে কোনো রকমে চলে তার সংসার। তবে জাতীয় দিবসগুলোতে তার ৬ সদস্যের পরিবারে সচ্ছলতা থাকলেও বাকি সময়ে পরিবার চালাতে বেশ হিমশিম খেতে হয় ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার ৩নং দিগনগর ইউনিয়নের তমালতলা গ্রামের মো. বাবুল আলীর পুত্র সাজিদকে। গত ১৩ ডিসেম্বর দুপুরে হাটহাজারী উপজেলা পরিষদের সম্মুখে মোনালিছা স্টোরে বসে এসব কথা হয় সাজিদের সঙ্গে। এ সময় সাজিদ জানান, আলাদা টিম করে ভাগ ভাগ হয়ে ফেরি করে পতাকা বিক্রি করতে দলবেঁধে বন্ধুদের সাথে চলে আসেন বন্দরনগরী চট্টগ্রাম শহরে। নগরীর ষোলশহরে এলাকার একটি হোটেলে রাত্রিযাপন করেন। প্রতিদিন সকালে বের হয়ে রাত অবধি ফের হোটেলে ফেরা পর্যন্ত সে বিভিন্ন সাইজ ও দামের জাতীয় পতাকা বিক্রি করে। বড় পতাকা ১০০ থেকে ১৩০ টাকা, মাঝারি পতাকা ৬০-৭০ টাকা, ছোট পতাকা ২৫ থেকে ৩০ টাকা এবং হাত পতাকা ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি করেন তিনি। পতাকা বিক্রির কাজটাকে কেন বেছে নিলেন এমনটা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রক্ত দিয়ে অর্জিত হয়েছে লাল-সবুজের এ পতাকা। এ পতাকাকে পেতে কত আবাল-বৃদ্ধ-বনিতাকে দিতে হয়েছে তাদের বুকের তাজা রক্ত। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে পতাকা বিক্রি করি। এতে আমি খুব আনন্দ পাই। কারণ জাতীয় পতাকা আমার দেশের গর্ব।’