লামায় পুলিশের বিরুদ্ধে মোটর সাইকেল চালককে মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ

46

ভাড়ার টাকা চাওয়ায় বান্দরবানের লামা উপজেলার কেয়াজুপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ- পরিদর্শক (এএসআই) আবু বকর ছিদ্দিকের বিরুদ্ধে মো. ইসমাইল নামের এক মোটর সাইকেল চালককে মদের মামলায় জড়ানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, রাতভর ফাঁড়িতে আটকে রেখে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনও করে ওই পুলিশ সদস্য। ইসমাইল কেয়াজুপাড়া বাজারের মসজিদ মার্কেট এলাকার বাসিন্দা আবদুল নবীর ছেলে। পুলিশ কর্তৃক জড়ানো হয়রানি মামলা থেকে রক্ষা পেতে বান্দরবান পুলিশ সুপারের নিকট লিখিতভাবে আবেদন করেছেন ভুক্তভোগী ইসমাইল। প্রাপ্ত লিখিত অভিযোগ উল্লেখ করা হয়, লোহাগাড়া উপজেলার একটি শোরুম থেকে মাসে ১০ হাজার টাকা কিস্তিতে একটি মোটর সাইকেল কিনে যাত্রী পরিবহন করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন মো. ইসমাইল। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তিনি। এ সুবাদে উপজেলার কেয়াজুপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক মো. আবু বকর ছিদ্দিক বিভিন্ন সময় ফাঁড়ি কিংবা ব্যক্তিগত কাজে ইসমাইলের মোটর সাইকেল যোগে বিভিন্ন স্থানে আসা যাওয়া করতেন। কোন সময় ভাড়া দিতেন না তিনি। ভাড়া চাইলে আবু বকর ছিদ্দিক বলেন, ‘এই বেটা তোর সাহস ত কম না, পুলিশের কাছে টাকা চাস।’ এর দু এক দিন পর পূণরায় মোটর সাইকেল যোগে বান্দরবান যাওয়ার জন্য ইসমাইলকে আসতে বলেন আবু বকর ছিদ্দিক। যেতে না চাইলে মোটর সাইকেল চালক মো. ইসমাইলকে দেখে নিবেন বলে হুমকি দেন তিনি। এক পর্যায়ে ১৮ এপ্রিল রাত পৌনে ১১টার দিকে ইসমাইল লোহাগাড়া থেকে যাত্রী নিয়ে কেয়াজুপাড়া গেলে পুলিশ সদস্য আবু বকর ছিদ্দিক বাজারের চৌরস্তায় দাঁড় করিয়ে বলেন, তুই পাড়ায় কেন গেছস। তুই বেশি বেড়ে গেছিস। এ কথা বলেই মোটর সাইকেল চালক ইসমাইলকে ফাঁড়িতে নিয়ে যান। সারা রাত ফাঁড়িতে বসিয়ে রেখে মানসিক ও শারিরিক নির্যাতন করেন। এমনকি ওই সময় কোন ধরণের খাবার কিংবা পানি পর্যন্ত পান করতে দেয়নি ওই পুলিশ সদস্য। পরদিন সকালে চাহিত ১০ হাজার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ৮লিটার দেশিয় তৈরি চোলাই মদসহ থানায় চালান দেয় পুলিশ। কেয়াজুপাড়া মোটর সাইকেল চালক সমিতির সহ-সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ইসমাইলকে কাজ আছে বলে ডেকে নিয়ে যায় পুলিশ। পরদিন সকালে মদসহ আটক হয়েছে মর্মে চালান দেয়া হয়, যা মিথ্যা ও বানোয়াট। তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে, যা স্বাক্ষীরা প্রমাণ করবেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সহকারী উপ-পরিদর্শক আবু বকর ছিদ্দিক বলেন, ওই রাতে ইসমাইলকে মদসহ হাতেনাতে আটক করা হয়। ইতিপূর্বেও স্থানীয়রা তাকে মদসহ আটক করে ইউনিয়ন পরিষদে সোপর্দ করেছিল। এ বিষয়ে তাকে অনেকবার সতর্কও করেছি। কিন্তু সে না মেনে পুণরায় মদ পানসহ ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। এখন নিজের দোষ ঢাকতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ তুলছে।