রোহিঙ্গাদের কারণে বিপর্যস্ত স্থানীয়রা

41

স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয়রা মানসিক ও পারিবারিকভাবে বিপর্যস্ত। স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্তদের সার্বিক সহযোগিতার জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ দেশি-বিদেশি এনজিওদের এগিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি দ্রুত রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য উন্নয়ন সহযোগীদের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বেশি ভূমিকা রাখতে হবে।
রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক। তাদেরকে মানবিক দৃষ্টি কোণ থেকে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয় দিয়েছেন। রোহিঙ্গাদের এখানে অস্থায়ী ভাবে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। একজন মানুষ সুন্দরভাবে বাঁচার জন্য যা প্রয়োজন তার সব কিছুর ব্যবস্থা করা হবে।
রোহিঙ্গা শরনার্থীরা যেন স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সাথে মিশে না যায় সেই জন্য সরকার কাঁটা তারের বেড়া দিয়ে রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। রোহিঙ্গাদের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কক্সবাজারের পরিবেশ, পানি, জলাশয় এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে আরো বেশি কাজ করতে হবে।
গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালাং রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৪ এক্সটেনশনের স্থানীয় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর কর্তৃক সুপেয় পানির পাম্প উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। পরে মন্ত্রী ক্যাম্প-২০ এক্সটেনশনের ইর্মাজেন্সী এসিসট্যান্স প্রকল্প (এলজিইডি অংশ) ও ফুড ডিস্ট্রিবিউশন পয়েন্ট উদ্বোধন করেন। এসময় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম রোহিঙ্গা শিবিরের বেশ কয়েকটি পরিবারের সাথে আলাপ করেন তাদের সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নেন। উখিয়ার ময়নারঘোনা রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১২ আইএমও পরিচালনাধীন সুপেয় পানির পাম্প কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলাল উদ্দিন আহমদ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরে প্রধান প্রকৌশলী সুশংকর আচার্য্য, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান, অতিরিক্ত শরনাথী ত্রাণ প্রত্যাবাসন কমিশনার শামসুদ্দোজা, মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এসএম সরওয়ার কামাল, উখিয়া উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা আমিমুল এহসান খান, নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদুর রহমান রুবেল, উখিয়া থানার ওসি আবুল মনছুর, দাতা সংস্থার লোকজন, ক্যাম্প ইনচার্জ ও এনজিও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।