রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামকে দাফন

35

রাঙামাটির লংগদুতে না ফেরার দেশে চলে গেলেন দেশের আর এক সূর্য সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল ইসলাম বেপারী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। দীর্ঘদিন ধরে ডায়েবেটিস, পেসার, সহবার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভূগছিলেন এ বীর মুক্তিযোদ্ধা। গত ২৬ জুলাই উপজেলার গুলশাখালী ইউনিয়নের রাজনগর এলাকায় তার নিজ বাড়িতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। গত ২৭ জুলাই বাদের যোহর রাজনগর এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। লংগদু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাইনুল আবেদীন, লংগদু থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ মোহাম্মদ নুর, গুলশাখালী উপি চেয়ারম্যান আবু নাছির সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার মো. খোরশেদ আলম, মুক্তিযোদ্ধা হযরত আলী ও এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিগন এসময় উপস্থিত ছিলেন। এর আগে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফুল তোড়া দিয়ে মরহুম মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল ইসলাম বেপারীকে প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। জানাজার নামাজ শেষে রাজনগর কবরস্থানে তাঁকে দাপন করা হয়। মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম বেপারী পারিবারিক জীবনে সাত মেয়ে, তিন ছেলে ও এক স্ত্রীসহ অনেক আত্মীস্বজন রেখে গেছেন। সূত্রে জানা যায়, মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম বেপারী পাকিস্তান আমলে আনসার বাহিনীতে চাকুরী করতেন। এরপর তিনি বঙ্গবন্ধুর আহবানে সাড়া দিয়ে দেশস্বাধীনতার সংগ্রামে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করেন।
তিনি বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলার মেহেদীগঞ্জ থানার খড়কি গ্রামে ১৯৪৫ সালে ১৫ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। পরে তিনি সেখানেই তিনি মুক্তিযুদ্ধে যোগদেন। দেশ স্বাধীনের অনেক পরে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম তথা রাঙামাটি জেলার গুলশাখালীতে জায়গাজমি ক্রয় করে এখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন এবং এখানেই মৃত্যুবরণ করেন।