রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শোক, চট্টগ্রামে শোকের ছায়া

106

চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনের সংসদ সদস্য বাংলাদেশ জাসদের নেতা মইন উদ্দীন খান বাদল ভারতের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিঊন)। বেঙ্গালুরুতে নারায়ণ ইনস্টিটিউট অব কার্ডিয়াক সায়েন্সেস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয় বলে তার ছোট ভাই মনির উদ্দীন খান জানান।
বছর দুই আগে ব্রেইন স্ট্রোক হওয়ার পর থেকেই অসুস্থ ছিলেন বাংলাদেশ জাসদের কার্যকরী পরিষদের সভাপতি বাদল। ৬৭ বছর বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ হৃদযন্ত্রের জটিলতায়ও ভুগছিলেন।
ছোট ভাই মনির জানান, দুই সপ্তাহ আগে নিয়মিত চেকআপের জন্য ভারতে গিয়েছিলেন বাদল। সেখানে প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠীর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
বাদলের মরদেহ দেশে আনা এবং শেষকৃত্যের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হলে পরে তা জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মনির।
চট্টগ্রাম ৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনের তিনবারের সাংসদ বাদল বর্তমান একাদশ জাতীয় সংসদের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য ছিলেন।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী উপজেলার সারোয়াতলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মইন উদ্দীন খান বাদল। তার বাবা আহমদ উল্লাহ খান ও মা যতুমা খাতুন।
ষাটের দশকে ছাত্রলীগের ‘নিউক্লিয়াসে’ যুক্ত বাদল একাত্তরে ভারতে প্রশিক্ষণ নেন এবং পরে যোগ দেন মুক্তিযুদ্ধে। চট্টগ্রাম বন্দরে অস্ত্র বোঝাই জাহাজ সোয়াত থেকে অস্ত্র খালাস প্রতিরোধের অন্যতম নেতৃত্বদাতা ছিলেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধের পর সমাজতান্ত্রিক রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন বাদল। জাসদ হয়ে বাসদ এবং পরে আবারো জাসদে ফেরেন। এরশাদের সামরিক শাসনের সময় তাকে কারাগারে যেতে হয়।
২০১৬ সালের ১২ মার্চ জাসদের জাতীয় কাউন্সিলে আবার দুই ভাগ হয় দলটি। হাসানুল হক ইনু ও শিরীন আখতার নেতৃত্বাধীন অংশটি ইসির স্বীকৃতি পাওয়ার পর শরীফ নুরুল আম্বিয়া ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান নেতৃত্বাধীন অংশটি বাংলাদেশ জাসদ নামে আলাদা দলের স্বীকৃতি চায়। তবে ইসি তাদের নিবন্ধন দেয়নি। এই অংশের কার্যকরী সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন মইন উদ্দীন খান বাদল।
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী-চান্দগাঁও আসন থেকে ২০০৮ সালে মহাজোটের মনোনয়ন পান শরিক দল জাসদের নেতা বাদল। নৌকা প্রতীকে তার বড় জয়ের মধ্য দিয়ে ওই আসনে বিএনপির দীর্ঘদিনের আধিপত্যের অবসান ঘটে।
এরপর ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে আরও দুই বার তিনি আসনের এমপি নির্বাচিত হয়ে সংসদে যান। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে দৃপ্ত বক্তব্য দেওয়া বাদল সমাদৃত ছিলেন একজন দক্ষ পার্লামেন্টেরিয়ান হিসেবে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দল গঠনেও তার ভূমিকা ছিল। স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন মইন উদ্দীন খান বাদল।
দেশের সংসদীয় ইতিহাসে বাদলের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে : রাষ্ট্রপতি
সংসদ সদস্য বাংলাদেশ জাসদের নেতা মইন উদ্দীন খান বাদলের মৃত্যুতে গভীরে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
গতকাল বৃহস্পতিবার এক শোক বার্তায় তিনি বলেন, মরহুম মইন উদ্দীন খান বাদল সংসদের বিভিন্ন কমিটিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে গঠনমূলক মতামত প্রদান করে সংসদ পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। বাংলাদেশের সংসদীয় ইতিহাসে তার অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
রাষ্ট্রপতি মরহুদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
বাদলকে মানুষ সবসময় মনে রাখবে : প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ জাসদের নেতা সংসদ সদস্য মইন উদ্দীন খান বাদলের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বাদলের মৃত্যুতে শেখ হাসিনা এক শোকবার্তায় বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
এই বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুতে দেশ ও জাতি একজন দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদকে হারালো। প্রগতিশীল আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখা এ নেতাকে জনগণ সবসময় মনে রাখবে।
প্রধানমন্ত্রী তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এদিক পৃথক এক শোক বার্তায় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মইন উদ্দীন খান বাদলের মৃত্যুতে দেশ একজন অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ানকে হারালো। তার মৃত্যু দেশ ও জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া এবং সংসদের প্রধান হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীও আলাদা বিবৃবিতে বাদলের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া এক শোকবার্তায় বলেছেন, মইন উদ্দীন খান বাদলের মৃত্যুতে দেশ একজন নির্ভিক মুক্তিযোদ্ধা, বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও প্রগতিশীল অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ানকে হারালো।
আর বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ তার শোকবার্তায় বলেন, তার মৃত্যুতে জাতি আজ বিনয়ী অসা¤প্রদায়িক চেতনায় সমৃদ্ধ, শিক্ষিত ও ত্যাগী রাজনীতিবিদকে হারালো। রাজনৈতিক অঙ্গনে তার মৃত্যুতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হল তা সহজে পূরণ হবার নয়।
জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এক যৌথ শোকবার্তায় বলেন, ষাট দশকে ছাত্রলীগের সদস্য হিসাবে বাঙালি জাতীয়তাবাদী সংগ্রাম-স্বাধীনতা সংগ্রাম-মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীন বাংলাদেশে জাসদের সদস্য হিসাবে স্বৈরশাসন-সামরিক শাসন-সাম্প্রদায়িকতা-প্রতিক্রিয়াশীলতার বিরুদ্ধে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে মইনউদ্দিন খান বাদলের সাহসী ও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
বাদলের মৃত্যুতে চট্টগ্রামে শোকের ছায়া
বাংলাদেশ জাসদের নেতা সংসদ সদস্য মইন উদ্দিন খান বাদলের মৃত্যুতে চট্টগ্রামের রাজনৈতিক অঙ্গণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বাদলের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য সমাজবিজ্ঞানী অনুপম সেন বলেন, তিনি ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ একজন সত্যিকারের দক্ষ পার্লামেন্টারিয়ানকে হারাল। গণতন্ত্রের ভিত্তি হল সংসদ। দেশের পার্লামেন্টারি সিস্টেমকে সমৃদ্ধ করতে তিনি ভূমিকা রেখেছেন।
সংসদে দেওয়া বক্তব্যে তথ্য, তত্ব ও উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি উপস্থাপনের ভিত্তি রচনা করতেন, যা মানুষের মর্মকে স্পর্শ করত।
বাদলের মৃত্যু চট্টগ্রামের জন্য ‘এক বড় ক্ষতি’ উল্লেখ করে অনুপম সেন বলেন, চট্টগ্রামের দাবি দাওয়া তিনি সংসদে তুলে ধরতেন। শেষদিকে কালুরঘাট সেতু নির্মাণের জন্য সোচ্চার ছিলেন।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, কয়েক বছরের ছোট হলেও তার সাথে আমার ঘনিষ্ঠতা ছিল খুব। আমাদের সমসাময়িক সবাই চলে গেছে, আজ বাদলও চলে গেল। শুধু আমি রয়ে গেলাম।
সে গণমানুষের নেতা ছিল। ছাত্রজীবন থেকেই আন্দোলন সংগ্রামে সোচ্চার থাকত। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের পরিচয় দিয়েছিল। আমি সাতবারের সাংসদ, আমার দেখা বাংলাদেশের সেরা কয়েকজন পার্লামেন্টারিয়ানের মধ্যে বাদল একজন। সংসদে তার বক্তব্য ছিল বস্তুনিষ্ঠ, জোরালো ও যুক্তি নির্ভর।
চীনে অবস্থানরত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এক বার্তায় সাংসদ বাদলের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন।
মেয়র নাছির বলেন, তিনি ছিলেন একাত্তরের রনাঙ্গণের একজন বীর সেনানী। সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের সাথে তিনি কখনও আপস করেননি। সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদ বিরোধী সংগ্রামে তার সোচ্চার কন্ঠ জাতি আজীবন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।
শুধু তাই নয় তিনি একজন দক্ষ পার্লামেন্টারিয়ানও ছিলেন। পার্লামেন্টে গণমানুষের দাবি তিনি সব সময় তুলে ধরতেন। এমন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, দক্ষ পার্লামেন্টারিয়ান ও রাজনীতিককে হারিয়ে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।
বোয়ালখালী-চান্দগাঁও আসনে গত ডিসেম্বরের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন আবু সুফিয়ান। ভোটের মাঠে বাদলের প্রতিদ্ব›দ্বী দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহব্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, এই বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী রাজনীতিবিদের প্রয়ানে গভীর শোক প্রকাশ করছি।
এ বছরের ডিসেম্বরর মধ্যে কালুরঘাট সেতুর কাজ শুরু না হলে তিনি সংসদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছিলেন। সরকারের কাছে দাবি অনতিবিলম্বে এই ব্রিজের কাজ শুরু করুন। উনার বিদেহী আত্মা শান্তি পাবে।
চান্দগাঁও আবাসিক বি-ব্লক কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাসান মাহমুদ চৌধুরী এমপি বাদলের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, এ গুণী ব্যক্তির মৃত্যুতে পুরো জাতি একজন প্রজ্ঞাবান রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযোদ্ধাকে হারিয়েছে, এ অঞ্চল হারিয়েছে একজন অভিভাববককে।
নগর বিএনপির সভাপতি শাহাদাত হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর জাসদনেতা বাদলের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বলে জানান দপ্তর সম্পাদক ইদ্রিস আলী।
ওর্য়ার্কাস পার্টির চট্টগ্রাম জেলা সভাপিত আবু হানিফ এবং সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌহান অন্য এক বার্তায় শোক জানিয়েছেন।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি চট্টগ্রাম জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল নবী এবং সাধারণ সম্পাদক অশোক সাহা এক বার্তায় বাদলের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন।
নামাজে জানাজা শনিবার :
বোয়ালখালী প্রতিনিধি জানান, সংসদ সদস্য মঈন উদ্দিন খান বাদলের নামাজে জানাজার সময়সূচি সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ। প্রয়াত সংসদ সদস্য বাদলের পরিবারের সম্মতিতে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় মরহুমের গ্রামের বাড়ি খান মহলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান।
মোছলেম উদ্দিন আহমদ জানান, চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য মঈন উদ্দিন খান বাদলের মরদেহ ভারতের বেঙ্গালুরু থেকে শুক্রবার (আজ) সন্ধ্যায় ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছবে। পরদিন শনিবার সকালে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার বিকেল ৩টায় চট্টগ্রামে জমিয়তুল ফালাহ্ জামে মসজিদ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে ২য় নামাজে জানাজা। বাদে আসর বোয়ালখালী সিরাজুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজ মাঠে তৃতীয় ও বাদে মাগরিব সারোয়াতলী ইব্রাহীম নূর মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে চতুর্থদফায় নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মরহুমের ছোট ভাই উপজেলা জাসদের সভাপতি মনির উদ্দিন খান, কামাল উদ্দিন খান মুকুল, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নুরুল আলম, ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা এসএম সেলিম, আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল আমিন চৌধুরী, রেজাউল করিম বাবুল, ইউপি চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন, মোহাম্মদ মোকারম, এসএম জসিম, কাজল দে, শফিউল আজম শেফু, পৌর প্যানেল মেয়র মিজানুর রহমান প্রমুখ।