রাঙামাটিতে ১২ স্কুলে পাসের চেয়ে ফেল বেশি

98

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীন মাধ্যমিক শিক্ষা (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় রাঙামাটি জেলায় এবার ১২ স্কুলে পাশের চেয়ে ফেল বেশী। ৭৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে শতভাগ পাশ করেছেন কাপ্তাই নেভী হাই স্কুল ও রাঙামাটির লেকার্স স্কুল এন্ড কলেজ। গতবার রাঙামাটিতে এসএসসি পাশের হাড় ছিল ৬২দশমিক ৭২ভাগ। এবার পাশের হাড় ৬৮দশমিক ৬০ভাগ। যদিও রাঙামাটিতে এবার পাশের হাড় একটু বেশী আসছে এবং জিপিএ-৫ বেশী পেয়েছে কিন্তু দেখা গেছে সদর উপজেলাসহ জেলার ১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাশের চেয়ে ফেল বেশী। তাহলে কি আমরা মনে করতে পারি ওইসব স্কুলে মেধাবি কোন শিক্ষক নাই বা শিক্ষক থাকলেও তারা ফাঁকি বাজি করছে। এদিকে রাঙামাটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এবং রাঙামাটি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের রেজাল্ট নিয়ে হতাশা প্রকাশ করছে ওইসব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর অভিভাবকেরা। অনেকে অভিযোগের সূরে বলেছেন, ঐতিহ্যবাহী ২টি প্রতিষ্ঠানে ভাল পড়া লেখা না হওয়ার কারনেদিন দিন অধপতনে যাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২টি। যারা এই ২টি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেন তারা ক্লাসে ভাল করে টিচিং না দিয়ে প্রাইভেট টিচিং নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। যার কারনে দিন দিন এই সুনামধন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর রেজাল্ট খারাপ হচ্ছে। অন্য দিকে রাঙামাটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এবং রাঙামাটি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে দীর্ঘ দিন ধরে যোগ্য প্রধান শিক্ষক না থাকার কারনে সবকিছু ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এবারের এসএসসি ফল প্রকাশের পর দেখা গেছে যে সব স্কুলে পাশের চেয়ে ফেল বেশী সেসব স্কুলগুলো হলো-সদর উপজেলার হারিক্ষণ উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট পরীক্ষার্থী-৪৯ জন পাশ করেছে-১৭জন ও ফেল করেছেন ৩২জন, বড়দাম উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট পরীক্ষার্থী-৫১জন পাশ করেছে-১৮জন ও ফেল করেছেন-৩৩জন এবং সাপছড়ি হাই স্কুল এ মোট পরীক্ষার্থী ৯২জন পাশ করেছে ৩৪জন ও ফেল করেছেন ৫৮জন,লংগদু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট পরীক্ষার্থী ৬০জন পাশ করেছে ২৭জন ফেল ৩৩জন, বাঘাইছড়ির তুলাবান উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট পরীক্ষার্থী-৪৫জন পাশ করেছে ৩৭জন ও ফেল ৪১জন, বাঘাইছড়ির আমতলী উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট পরীক্ষার্থী ৪৫জন পাশ-২১জন ও ফেল-২৪ জন, কাপ্তাই উপজেলার কেআরসি হাই স্কুল এ মোট পরীক্ষার্থী ১১৮জন পাশ- ৫২ জন ও ফেল-৬৫ জন, নানিয়ারচর বড়মহা পুরন উচ্চ বিঃ মোট পরীক্ষার্থী-১৯০জন পাশ-৮৭জন ও ফেল ১০৩ জন, জুরাছড়ির ভূবনজয় সরকারি হাই স্কুল মোট পরীক্ষার্থী- ২১৬জন পাশ-৮৪জন ও ফেল ১০২জন, বরকল বিলছড়া হাই স্কুল মোট পরীক্ষার্থী-৬২জন পাশ-২২জন ও ফেল ৪০জন, বরকল উপজেলার সুভলং উচ্চ বিদ্যালয় মোট পরীক্ষার্থী-১১৬জন পাশ-৪৯জন ও ফেল ৬৭জন, বরকল উপজেলার বরুনাছড়ি উচ্চ বিদ্যালয় মোট পরীক্ষার্থী-১০৪জন পাশ-২৮জন ও ফেল ৭৬জন এবং বরকলের হাজাছড়া উচ্চ বিদ্যালয় মোট পরীক্ষার্থী ৫৪জন পাশ ১২জন ও ফেল ৪২জন। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার উত্তম খীসা মুঠোফোনে বলেন, গতবারের চেয়ে এবার এ জেলাতে পাশের হাড় ভাল। জিপিএ-৫ ও গতবারের চেয়ে অনেক বেড়েছে। তবে শুনেছি প্রত্যন্ত দুর্গম এলাকার বেশ কিছু স্কুলে পাশের চেয়ে ফেল বেশী। এটার কারন হলো দেখা গেছে বেশ কিছু প্রাইমারি স্কুলকে জুনিয়র হাই স্কুল করা হয়েছে ওই সব স্কুলে ভাল টিচার না ও থাকতে পারে। যার করনে ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে। আবার দেখাগেছে প্রত্যন্ত এলাকায় বেশ কিছু হাই স্কুল আছে যা বোর্ড কর্তৃক পাঠদানের অনুমতি নাই। তাই তারা অন্য স্কুল থেকে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার্থী দিচ্ছে।আরো একটি কারন আছে প্রত্যন্ত এলাকার স্কুলগুলোতে গণিত ওবিঞ্ছান বিষয়ের ভাল শিক্ষক না থাকার কারনে ফলাফল বিপর্যয় হতে পারে। এছাড়াও প্রত্যন্ত এলাকার স্কুলগুলোতে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের কারনে ফলাফল বিপর্যয় ঘটতে পারে।