যুবলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ১০

34

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল লালদীঘি মাঠে নগর যুবলীগের আলোচনা সভায় বিবদমান দু’পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় চসিকের একজন কাউন্সিলরসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। মারামারির ঘটনায় বক্তব্য না দিয়ে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শিক্ষা উপ-মন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল চলে যান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি যাননি।
জানা গেছে, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সভায় নগর যুবলীগের যুগ্ম আহব্বায়ক ফরিদ মাহমুদ, দেলোয়ার হোসেন খোকা, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মাহমুদুল হক বক্তব্য দেন। আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু বক্তব্য দিতে গেলে মাঠের উত্তর-পশ্চিম দিকে একটি মিছিল প্রবেশ করে। হঠাৎ এ মিছিল থেকে হট্টগোল শুরু হয়। এক পর্যায়ে চেয়ার ছুঁড়ে মারা হলে উভয় পক্ষে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এ সময় উভয় পক্ষের যুবলীগকর্মীরা একে অপরকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করতে থাকেন। উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ব্যাপকতা বাড়তে থাকলে পুলিশ উভয় পক্ষকে ধাওয়া দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ অবস্থায় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ব্যারিস্টার নওফেল সভাস্থল ত্যাগ করে চলে যান। পরে নগর যুবলীগের আহবায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি টানেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন নগর যুবলীগের যুগ্ম আহব্বায়ক দিদারুল আলম।
নগর যুবলীগের আহব্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু পূর্বদেশকে বলেন, ‘ঘটনার কারণ তদন্ত করা হচ্ছে। বিশাল এ সভায় কারা বিশৃঙ্খলা করেছে, তা এখনও নিশ্চিত হতে পারি নাই। তবে সুযোগসন্ধানীরা সুযোগ নিয়েছে এটি নিশ্চিত। মাত্র ১০ মিনিট উত্তেজনা ছিল। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমরা যথাসময়ে সভা সম্পন্ন করে র‌্যালি করেছি।’
মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহব্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকা পূর্বদেশকে বলেন, ‘অনুষ্ঠানে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আলতাফ হোসেন বাচ্চু ভাই বক্তব্য রাখার সময় একটি মিছিল থেকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। মিছিলটি কাউন্সিলর মোবারকের নেতৃত্বে অনুষ্ঠানস্থলে আসে। এ ঘটনায় মোবারক নিজেও আহত হন। আমরা ঘটনার সাথে প্রকৃত কারা জড়িত তদন্ত করবো। তদন্তে সংগঠনের সাথে জড়িত আছে, এমন কাউকে পাওয়া গেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা নিজ সংগঠনের অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা করতে পারে, তারা যুবলীগের কেউ না। বিশৃঙ্খলার পর বক্তব্য না দিয়ে প্রধান অতিথি নওফেল ভাই চলে যান। অনুষ্ঠানে মেয়র নাছির ভাই অতিথি থাকলেও তিনি মাঝপথ থেকেই ফেরত যান।’