যুদ্ধাপরাধের মামলা করে হামলার শিকার লংগদুর এক পরিবার

18

যুদ্ধাপরাধের মামলা করে বিপদে পড়েছে রাঙামাটির লংগদুর এক পরিবার। এ পরিবারের লোকজন প্রতিনিয়ত হামলার শিকার হচ্ছেন। পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে পরিবারের লোকজনদের। পরিবারটি জীবনের নিরাপত্তা দাবি জানিয়ে গত সোমবার রাঙামাটিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে। এ সময় অভিযুক্ত রাঙামাটি লংগদুর গুলশাখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. রহিম ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায়ন আনার দাবি জানিয়েছে পরিবারটি। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, ১৯৭১ সালে রাজাকার বাহিনী আশরাফ আলীকে ধরে নিয়ে হত্যা করে। রাজাকার বাহিনীর সদস্য হয়ে এ ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছিল রহিম চেয়ারম্যান। এ ঘটনার যুদ্ধাপরাধের বিচার চেয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন আশরাফ আলীর স্ত্রী ফাতেমা বেগম। এ মামলার পর থেকে রহিম ক্ষিপ্ত হয়েছে তার আত্মীয় স্বজন যেখানে পায় সেখানে হামলা করছে। মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ সৃষ্টি করছে। সর্বশেষ গত ১৯ অক্টোবর রহিম তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে লংগদুর গুলশাখালীতে হামলা চালায়। এতে ফাতেমার মেয়ে গুলশাখালী ইউপি সদস্য শাহিনা বেগম, জামাই নাজিম উদ্দিন গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনায় রাঙামাটি চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা হলেও আসামিরা গ্রেফতার হয়নি। যুদ্ধাপরাধী মামলার আসামী আবদুর রহিম চেয়ারম্যান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। নিরাপত্তার অভাবে ভুগছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শাহিনা বেগম। এসময় তার পরিবারের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। যুদ্ধাপরাধী মামলার বাদীনির মেয়ে হোসনে আরা বেগম বলেন, রহিম চেয়ারম্যান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী সামান্য ভিজিডি কার্ডের চাল বিতরণ করা কেন্দ্র করে গুলশাখালী ইউপি সদস্য শাহিনা বেগম, তার স্বামী নাজিম উদ্দিনকে মেরে গুরুতর আহত করে এবং প্রায় ৬৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তাদের অত্যাচারে আমার বোন ও তার স্বামী নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছে। আমি এ বর্বরচিত নির্যাতনের সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক বিচার সহ দোষীদের শাস্তি কামনা করছি।