যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনায় চীন, রাশিয়া ও ইরান

3

 

কিউবা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেছে চীন, রাশিয়া ও ইরান। দেশটিতে সরকারবিরোধী বিরল বিক্ষোভে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সমর্থন ঘোষণার পর এ ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে তিন দেশ। মঙ্গলবার মস্কোয় রুশ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রাশিয়ায় নিযুক্ত কিউবান রাষ্ট্রদূত জুলিও গার্মেনদিয়া পেনা। বৈঠকে মস্কোর পক্ষ থেকে কিউবার সরকার ও জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ করা হয়। একইসঙ্গে শিগগিরই পরিস্থিতির উন্নয়নে রাশিয়ার পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৈঠকে শিগগিরই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসার ব্যাপারে উভয় পক্ষই নিজেদের আত্মবিশ্বাসের কথা জানিয়েছে। একইসঙ্গে তারা কিউবায় বিদেশি হস্তক্ষেপকে অগ্রহণযোগ্য হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। কিউবার চলমান বিক্ষোভে মার্কিন সমর্থন নিয়ে নিজ দেশের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝা লিজিয়ান। মঙ্গলবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘কিউবার ওষুধ ও জ্বালানি ঘাটতির মূল কারণ যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা।’ দেশটির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে বাইডেন প্রশাসনের প্রতি আহব্বান জানান তিনি। ঝা লিজিয়ান বলেন, চীন জোরালোভাবে কিউবার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপের বিরোধী। কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই, জনগণের জীবনযাত্রার উন্নয়ন এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় কিউবা যা করেছে তার প্রতি বেইজিং-এর দৃঢ় সমর্থন রয়েছে।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, আমি জোর দিয়ে বলতে চাই যে, দুই দেশের প্রেসিডেন্টের গুরুত্বপূর্ণ ঐকমত্য বাস্তবায়নে চীন কিউবার সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। উভয় দেশের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গভীর করার ব্যাপারে বেইজিং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খতিবজাদেহ বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কিউবার জনগণের দুর্দশার জন্য প্রথমত দায়ী যুক্তরাষ্ট্র। তারা নিজেদেরকে দেশটিতে বিক্ষোভের সমর্থক হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করছে। আন্তর্জাতিক নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে একটি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছে।