মিয়ানমার-পাকিস্তান থেকে এল ১৭০ টন পেঁয়াজ

39

ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের পর বিকল্প দেশ হিসেবে পাকিস্তান ও মিয়ানমার থেকে ১৭০ মেট্রিক টন আমদানি করা পেঁয়াজ চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে। সোমবার ও গতকাল মঙ্গলবার বন্দর দিয়ে এই দুই দেশ থেকে এসব পেঁয়াজের চালান এসে পৌঁছেছে। এর আগে টেকনাফ স্থল বন্দর দিয়ে দুটি চালানে ৫৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ খালাস হয়েছিল।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর উদ্ভিদ সংঘ নিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বুলবুল জানান, দুই দিনে ১৭০ টন পেঁয়াজের জন্য ছাড়পত্র ইস্যু করা হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের কায়েল এন্টারপ্রাইজের মিয়ানমার থেকে আমদানি করা ৫৪ টন পেঁয়াজ খালাসে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। সোমবার এই প্রতিষ্ঠানকে ছাড়পত্র প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া পাকিস্তান থেকে আনা গ্রিন ট্রেডের ১১৬ টন পেঁয়াজের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, কৃষিজাত পণ্য আমদানিতে অনুমতিপত্র নিতে হয় উদ্ভিদ সংঘ নিরোধ কেন্দ্র থেকে। এর পরে বন্দরে খালাসের জন্য ছাড়পত্র নিতে হয়। খালাসের জন্য ছাড়পত্র পাওয়া পেঁয়াজ দ্রুতই বাজারে প্রবেশ করবে।
গত সোমবার কায়েল এন্টারপ্রাইজের ৫৪ টন পেঁয়াজ বন্দর থেকে ছাড় করানো হয়েছে বলে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এস হোসাইন অ্যান্ড কোম্পানির প্রতিনিধিরা জানান।
চট্টগ্রাম বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, পেঁয়াজের সংকট মোকাবেলায় বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা চালান বন্দরে আসতে শুরু করেছে। পেঁয়াজের চালান খালাসে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। দ্রæত সময়ে এসব চালান ডেলিভারি দিতে বন্দর কর্তৃপক্ষ শতভাগ প্রস্তুত রয়েছে। ইতোমধ্যে দুই কন্টেইনার চালান খালাস নেওয়া হয়েছে। আমদানিকারকরা বাকি চালান খালাসের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, বাজারে সংকট মোকাবিলায় চট্টগ্রাম বন্দরে পেঁয়াজের চালান আসার পর দ্রুত খালাসের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্ততি সম্পন্ন হয়েছে। কাস্টম হাউসের অভ্যন্তরীণ ‘গ্রূপ-১’ শাখায় পেঁয়াজের চালান খালাসের অনুমোদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
খাতুনগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ। বাজারে পেঁয়াজ সংকট শুরু হওয়ার পর থেকে ভারতের বিকল্প দেশ হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে প্রথম চালান ঢুকেছে মিয়ানমারের পেঁয়াজ। গত সোমবার রাতে খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন আড়তে দুই কনটেইনার পেঁয়াজ প্রবেশ করেছে। খাতুনগঞ্জের আড়তে ৭০ টাকায় প্রতি কেজি মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণার আগে ৩ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে বিকল্প বাজার থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্র দেওয়া শুরু হয়। গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ৭৫টির মতো প্রতিষ্ঠান ১২টি দেশ থেকে এক লাখ ৪৭ হাজার ৫৪৫ টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য অনুমতিপত্র নিয়েছে। এসব দেশ হল, চীন, মিয়ানমার, পাকিস্তান, তুরস্ক, মিশর, নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ভারত, ইউক্রেন, দক্ষিণ আফ্রিকা ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।