মিরসরাই উপজেলার পশুর হাটগুলোতে পশুর প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে ৪ টি মেডিকেল টিম। উপজেলার ১৬ টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভার স্থায়ী ৬ টি ও অস্থায়ী ১৮ টি পশুর হাট রয়েছে। এসব হাটে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে উপজেলা প্রানী সম্পদ অধিদপ্তরের ৫-৬ সদস্যের মেডিকেল টিম।
মেডিকেল টিম কোরবানীদাতারা যাতে নিরাপদ পশু কিনতে পারে, অসাধু খামারিরা যাতে রোগা ও অসুস্থ্য পশু বিক্রি করে ঠকাতে না পারে সেদিকেও নজর রাখছে। উপজেলার বিভিন্ন পশুর হাটে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত মেডিকেল টিমগুলোর সরেজমিন তদারকি করে যাচ্ছেন উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. শ্যামল চন্দ্র পোদ্দার, উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডা. জয়িতা বসু।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. শ্যামল চন্দ্র পোদ্দার জানান, উপজেলার বাজারগুলোতে পশুর ধকলজনিত পানিস্বল্পতা, জ্বর, ব্যথা, পরিবহনকালীন ট্রমাটিক ইনজুরি, সাধারণ ক্ষুধামন্দা ইত্যাদির চিকিৎসা ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে মেডিকেল টিম এবং বিনামূল্যে বেশ কয়েক ধরনের ওষুধও সরবরাহ করা হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, মিরসরাইয়ে এবার প্রায় ১৮-২০ হাজার পশু কোরবানীর জন্য মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে। খামারিরা কোন প্রকার স্টেরয়েড হরমোন ব্যবহার করা ছাড়া গরু মোটাতাজা করেছেন।
উপজেলা প্রানী সম্পদ অধিদপ্তর এবিষয়ে খামারিদের সাথে বেশ কয়েকবার মতবিনিময় সভা ও নানা সচেতনতামূলক কর্মসূচী পালন করায় স্টেরয়েড হরমোন মুক্ত গরু মোটাতাজাকরণে উদ্ধুদ্ধ হয়।