মার্কিন হুমকির দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে : ইরান

30

যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনও হুমকির দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্বাস মুসাভি বলেছেন, সীমান্তে আমেরিকার কোনও আগ্রাসী তৎপরতা মেনে নেওয়া হবে না। এক্ষেত্রে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে পাল্টা জবাব যা-ই আসুক না কেন তেহরান তার পরোয়া করে না।মার্কিন গোয়েন্দা ড্রোন গুলি করে ভূপাতিতের পর ইরানের ওপর হামলার নির্দেশ স্থগিত করেছেন বলে ট্রাম্পের দাবির পর এমন মন্তব্য করলেন আব্বাস মুসাভি। তিনি বলেন, ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হোক না কেন; ইরানের সীমানা লঙ্ঘনের কোনও অনুমতি কাউকে দেওয়া হবে না। সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে কোনও হুমকি আসলে তা প্রতিরোধের জন্য তেহরান পুরোপুরি প্রস্তত রয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের সিদ্ধান্ত ওয়াশিংটনের সিদ্ধান্তের ওপর আটকে থাকবে না। ইরানের সীমানা লঙ্ঘন করা হলে আমরা তা শক্ত হাতে প্রতিরোধ করবো। সেখানে হুমকি থাকুক আর না-ই থাকুক। ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি গত বৃহস্পতিবার ইরানের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশকারী মার্কিন ড্রোন ‘আরকিউ-৪এ গেøাবাল হক ভূপাতিত করে। এর প্রেক্ষিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, ইরানের তিনটি স্থানে হামলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল এবং হামলা চালালে এসব স্থানে ১৫০ জন ইরানি নাগরিক নিহত হতো। কিন্তু প্রাণহানি এড়াতে হামলা চালানোর ১০ মিনিট আগে তিনি সে নির্দেশ বাতিল করেন। এরপরই ইরানের পক্ষ থেকে পাল্টা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়। শুক্রবার এনবিসিকে ওই সিদ্ধান্তের ব্যখ্যা দিতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, তাকে জানানো হয়েছিল হামলা হলে ইরানের ১৫০ মানুষ মারা যেতে পারে। ট্রাম্প বলেন, ‘আমি এটা চাইনি। আমার মনে হয়নি এটা যৌক্তিক হবে।’
ট্রাম্প দাবি করেন, হামলা সংক্রান্ত পরিকল্পনা তার অনুমোদনের অপেক্ষায় ছিল। তখন তিনি সামরিক জেনারেলদের কাছে জানতে চান কতো মানুষ মারা যাবে। এনবিসি’কে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি দ্বিতীয়বারের মতো এ নিয়ে ভাবলাম। বললাম, আপনারা জানেন যে তারা (ইরান) একটি মনুষ্যবিহীন ড্রোন বা প্লেন ভূপাতিত করেছে। আর আমরা এখানে বসে থেকে হামলা অনুমোদনের আধ ঘণ্টার মধ্যে ১৫০ মানুষ মারা যাবে।’ সে কারণেই তিনি অভিযানের অনুমোদন দেননি।