মার্কিন কৃষিজাত পণ্য থেকে চীনা শুল্ক প্রত্যাহারের আহব্বান ট্রাম্পের

18

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীন সরকারকে তার দেশে উৎপাদিত কৃষি ও খামারজাত পণ্যের উপর থেকে ‘দ্রুত’ সব ধরনের শুল্ক প্রত্যাহারের আহব্বান জানিয়েছেন। শনিবার এক টুইটে ট্রাম্প এ আহব্বান জানান। তিনি লেখেন, “আমি চীনকে দ্রুত আমাদের কৃষিজাত পণ্যের (গরু এবং শূকরের মাংসও অন্তর্ভূক্ত) উপর থেকে সব ধরনের শুল্ক প্রত্যাহার করে নেওয়ার আহব্বান জানিয়েছি।”
বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতির দুই দেশ গত বছর পরস্পরের পণ্যের উপর কয়েক দফা শুল্কারোপ করে যে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করেছিল তার আঁচ সারা বিশ্বেই লেগেছে। নিজেদের অর্থনীতির কথা মাথায় রেখে উভয় দেশেই এখন ওই যুদ্ধ থেকে সরে আসতে চাইছে। যার অংশ হিসেবে গত ডিসেম্বরে আলোচনার মাধ্যমে সংকট নিরসনে ৯০ দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়। কৃষিজাত পণ্য থেকে শুল্ক প্রত্যাহারের আহব্বান জানানোর কারণ ব্যাখ্যায় ট্রাম্প বলেন, “আমি এ আহব্বান জানিয়েছি কারণ আমাদের বাণিজ্য আলোচনা দারুণ ভাবে অগ্রসর হচ্ছে।” বাণিজ্য আলোচনার জন্যই ট্রাম্প চীনা পণ্যের উপর আরোপিত নতুন শুল্ক কার্যকরের সময় আগামী ১ মার্চ পর্যন্ত পিছিয়ে দিয়েছেন।
যুক্তরাজ্যের বিশ্ববাণিজ্য নীতির কঠোর সমালোচক ট্রাম্প শুরু থেকেই তা পরিবর্তনের কথা বলে আসছেন। ‘চীন অন্যায় সুবিধা পাচ্ছে’ দাবি করে তিনি চীনা পণ্যের উপর নতুন করে আড়াইশ বিলিয়ন মার্কিন ডলার শুল্কারোপের ঘোষণা দেন।
জবাবে চীনও যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের উপর নতুন করে আরও ১১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার শুল্কারোপের ঘোষণা দেয়। বাণিজ্যযুদ্ধের এ দামামা বিশ্ববাণিজ্যকে আতঙ্কিত করে তোলে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল সতর্ক করে বলেছিল, এই বাণিজ্য যুদ্ধ বিশ্বকে আরো দরিদ্র এবং জীবন যাপনের জন্য অধিক ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে পরিণত করবে।
এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ নিজেদের ক্ষতির কথা বিবেচনা করে আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানের চেষ্টা করার বিষয়ে একমত হন। গত মাসে ট্রাম্প বলেছিলেন, দুই দেশের বাণিজ্য আলোচনা দারুণ ভাবে অগ্রসর হচ্ছে এবং তারা ‘নতুন একটি বাণিজ্য চুক্তিতে উপনীত হওয়ার খুব খুব কাছে পৌঁছে গেছে’।