‘মানবতার দেয়াল’

81

সম্প্রতি তরুণ প্রজন্মের কাছে পছন্দের এক মানবিক সেবার নাম ‘মানবতার দেয়াল’। নগর থেকে মফস্বল এমনকি তৃণমূল পর্যন্ত এ ‘মানবতার দেয়াল’ এখন চোখে পড়ার মত। এটি নিঃসন্দেহে মূল্যবোধের জাগরণের অংশ। যেখানে প্রতিনিয়ত তারুণ্যের দিকভ্রান্ত পথচলা নিয়ে আমরা চিন্তিত, শঙ্কিত। সেখানে এ জাতীয় মানবিক বিষয়গুলো নিয়ে তরুণ ও যুব সমাজের আগ্রহ আমাদের আশাবাদি করে তুলে। সম্প্রতি নগরীর ব্যস্ততম ঐতিহাসিক বাণিজ্যিক জনপদ আছাদগঞ্জ এলাকায় ‘মানবতার দেয়াল’ স্থাপন করে গরিব ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছেন এক তরুণ ব্যবসায়ী। সুবিধাবঞ্চিত ও ভাসমান মানুষের জন্য নিজ উদ্যোগে তিনি এটি স্থাপন করেছেন বলে এলাকাবাসী আমাকে জানিয়েছেন। পরে এ ব্যবসায়ীর সাথে আলাপ করে তাঁর মানবিক চিন্তা ও ভাবনার বিষয়টি স্পষ্ট হই। তার উদ্দেশ্য হচ্ছে, যেখানে সমাজের বিত্তবানরা তাদের অপ্রয়োজনীয় পরিধেয় কাপড় রেখে যাবেন এবং গরিব-দুঃখী মানুষরা তাদের প্রয়োজন মোতাবেক সেখান থেকে পরিধেয় বস্ত্র নিয়ে পরিধান করবেন।


বন্দরনগরীখ্যাত চট্টগ্রাম বাণিজ্যের পাশাপাশি দেশের রাজনীতির জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। তাই এখানে দলের আস্থা বা রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য অনেকে কাজ করছেন। তবে জন মানুষের সেবাদান ও তাদের আস্থা অর্জনে সফল এ মানবতাপ্রেমী মো. শামসুদ্দিন সিদ্দিকী মুন্না শাহ্। তার সাথে লেখকের আলাপচারিতায় জানা যায়, চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রলীগে সম্পৃক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে মুন্নার পথ চলা। বঙ্গবন্ধুকে চিনতেন পারিবারিকভাবে। দাদা ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। বাবাও আওয়ামী রাজনীতির অনুসারী। তিনি দলের কঠিন সময়েও ছিলেন আওয়ামী রাজনীতির সাথে। তবে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের সাহায্য করে মানসিক তৃপ্তি পান এবং স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তার মতে, ছাত্র রাজনীতি থেকে সুস্থ ও সুন্দর ধারার রাজনৈতিক নেতার সৃষ্টি হয়। দেশের জনগণ মনে করেন দুর্নীতিমুক্ত বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ তৈরী করতে পারে একমাত্র তরুণ নেতৃত্ব। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও শুদ্ধি অভিযানের মাধ্যমে বাছাই করে নিচ্ছেন জনবান্ধব তরুণদের। দল ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন তরুণেরা। এতে করে তরুণদের সম্ভাবনা অনেক বেশি। আওয়ামী লীগের দলীয় মিশন ও ভিশনকে বাস্তবায়ন করতে মাঠে কাজ করছে দেশের নানান প্রান্তের তরুণ রাজনীতিবিদরা।
প্রধানমন্ত্রীর ২০২১, ২০৩০ ও ২০৪১ সালের ভিশন বাস্তবায়নে যে মেগা প্রকল্পগুলো গ্রহণ করেছেন তার বিশাল একটি অংশজুড়ে আছে চট্টগ্রাম। সমাশুদ্দিন মুন্না চট্টগ্রামকে ঘিরে ঘোষিত উন্নয়ন প্রকল্পগুলো তৃণমূলের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতেও কাজ করছেন। এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘আমি চাই জনগণ জানুক আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে কতখানি এগিয়ে নিচ্ছে। সাধারণ জনগণ জানুক আওয়ামীলীগ সরকার চট্টগ্রামের জন্য কি করছে, আর ভবিষ্যতে কি করবে।
তার মতে, আজকাল দলের পদ পাওয়ার জন্য সকলে মরিয়া। দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করে ক্যাডারগিরি করছেন অনেকে। অথচ আমি মনে করি, পদ একটি মহান দায়িত্ব। পবিত্র আসন। যেটি থেকে জনগণের কাছে পৌঁছানো যায়। জনগণের অধিকার নিয়ে কথা বলা যায়। আমি যখন ছাত্র রাজনীতি করেছি তখন দলের কঠিন সময় চলছিলো। আমরা সাম্প্রদায়িক, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করেছি, আওয়ামী লীগের সোনালি সুদিন ফিরিয়ে আনতে। এখন সেই সোনালি সুদিন চলছে ’।
মুন্না বর্তমানে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সদস্য পদে আছেন। কথার এক পর্যায়ে মুন্না শাহ্ বলেছেন, মানবিক বিষয়গুলো এসডিজির অন্তর্ভুক্ত কর্মসূচি। তরুণরা এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে এগিয়ে আসলে জাতির পিতার কন্যার হাত আরো শক্তিশালী ও বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণের পথ আরো মসৃণ হবে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে এই ‘মানবতার দেয়াল’ তৈরী করে সকল দুস্থদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে চান মুন্না শাহ্। আমরা চাই তরুণ এ রাজনীতিক ও সমাজসেবকের মত আমাদের নতুন প্রজন্ম মানবিক সেবা কার্যক্রমে নিজেদের ব্রত করে দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নেবে।
লেখক: সাংবাদিক