ভারতে মাস্কের অভাব মেটাচ্ছে গামছা আর পাতার মুখোশ

64

ভারতে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে যথেষ্ঠ সংখ্যক মাস্কের জোগান না থাকায় কোনও কোনও রাজ্য এখন মুখে গামছা জড়িয়েই কাজ চালানোর পরামর্শ দিচ্ছে। আদিবাসী অধ্যুষিত কোনও কোনও এলাকায় আবার স্থানীয় মানুষরা গাছের পাতা দিয়ে নিজেরাই মুখোশ বানিয়ে তা পরছেন।মুখোশের বদলে আপাতত গামছা মুখে জড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। শুক্রবার নিজের টুইটার হ্যান্ডল থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব নিজেই একটি ‘ডেমো’ দিয়ে দেখিয়েছেন, এই মহামারির আশঙ্কার মধ্যে কীভাবে কাঁধে একটা গামছা ফেলে রাখলে ও দরকারে মুখের ওপর জড়িয়ে নিলে তা দিয়ে মাস্কের কাজ হতে পারে। ওই ভিডিওতে তাকে বাংলায় বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘আমাদের প্রত্যেকের বাড়িতেই তো ‘গামছা’ বা ‘জল গামছা’ থাকে।
এখন বাইরে বেরোনোর সময় ওই গামছা দিয়েই যদি মুখটা ঢেকে নেন তাহলে কিন্তু সেটা আমাদের মাস্কের কাজ অনেকটাই করে দেবে।’ ‘তবে হ্যাঁ, গামছাটা আপনার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। পুরনো গামছা হলে বা রঙ চটে গেলে কোনও ক্ষতি নেই।’ ‘কলকাতা বা গৌহাটির মতো বড় শহর থেকে মাস্ক আসতে অনেক সময় লাগবে। ততক্ষণ অপেক্ষা না-করে ত্রিপুরাবাসী যদি নিজেদের বাড়ির গামছাটাই এভাবে কাজে লাগায় তাতে অনেক উপকার হবে।’ ওই ভিডিওতে এভাবেই বলেছেন বিপ্লব কুমার দেব। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে তার এই বার্তা গোটা রাজ্যজুড়ে জোরেশোরে প্রচার করা শুরু হয়ে গেছে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভারতে যে উপযুক্ত মানসম্মত মাস্কের অভাব আছে কিংবা চাহিদার তুলনায় তা একেবারেই পর্যাপ্ত নয়- তা ত্রিপুরা সরকারের এই বার্তা থেকেই স্পষ্ট। ওদিকে ভারতের আদিবাসী-প্রধান রাজ্য ছত্তিশগড়ের বহু গরিব মানুষ প্রশাসন বা স্বাস্থ্য দফতরের ভরসায় বসে না-থেকে নিজেরাই পাতা দিয়ে এক ধরনের মুখোশ বানিয়ে পরতে শুরু করেছেন।