ভারতের কাছে পাত্তাই পেল না পাকিস্তান

41

দুই চিরপ্রতিদ্ব›দ্বী পাকÑভারতের ক্রিকেট যুদ্ধে জয়ী হল বিরাট কোহলির ভারত। এই নিয়ে বিশ্বকাপে মুখোমুখি হওয়া সাতবারের প্রত্যেকটিতে হেরেছে পাকিস্তান। গতকাল ছিল পাকিস্তানের নতুন ইতিহাস লেখার পালা। কিন্তু রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, লোকেশ রাহুল ও হার্দিক পান্ডিয়ার বেধড়ক পিটুনিতে গড়া রানের পাহাড়ে চাপা পড়ে তার ছিটেফোটাও দেখাতে পারল না সরফরাজের দল।
ম্যানচেস্টার ওল্ড ট্রাফোর্ডে অনুষ্ঠিত গতকালের এক পেশে ম্যাচটিতে টসভাগ্য হেরে আগে ব্যাট করার আমন্ত্রণ পেয়ে ভারত রোহিত শর্মা দুর্দান্ত ১৪০, বিরাট কোহলির দানবীয় ৭৭ এবং লোকেশ রাহুলের ৫৭ রানের ভিত্তিতে ৩৩৬ রান সংগ্রহ করে। জবাব দিতে নেমে ডার্কওয়াথ ও লুইস পদ্ধতিতে ৮৯ রানের হার মেনে নেয় পাকিস্তান।
কঠিন লক্ষ্য ৩৩৭ রানের পাহাড় টপকাতে গিয়ে পাকিস্তান দলীয় ১৩ রানে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ইমাম-উল হক(৭) কে হারায়। তবে দ্বিতীয় উইকেটে ফখর জামান ও বাবর আজমের ১০৪ রানের অনবদ্য জুটিতে জয়ের স্বপ্ন দেখা শুরু করে পাকিস্তান। কিন্তু এক উইকেটে ১১৭ রান করা পাকিস্তান দলের নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান বাবর আজমকে ব্যক্তিগত ৪৮ রানে হারানোর পর পরবর্তী ১২ রান তুলতে গিয়ে ব্যাটসম্যান ফখর জামান, মোহাম্মদ হাফিজ ও শোয়েব মালিকের উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে পড়ে যায় পাকিস্তান। ২৬.৫ ওভারে পাঁচ উইকেটে ১২৯ রান পাকিস্তানের। এ অবস্থায় ক্রিজে আসেন সরফরাজ আহমেদ ও ইমাদ ওয়াসিম। মারাত্মক বিপর্যয়ে থাকা পাকিস্তানকে টেনে তুলতে দুজনেই মাঠ কামড়ে পড়ে থাকার চেষ্টা করেন তাঁরা। কিন্তু তাতেও বাঁধা হয়ে দাঁড়ান বিজয় শংকরের ঘূর্ণি। ১৬৫ রানের মাথায় ৩৫তম ওভারের প্রথম বলে সরফরাজের উইকেটটি সরাসরি ভেঙে দেন তিনি। প্যাভিলনমুখি হওয়ার আগে ভারতীয় বোলারদের ৩০ বল মোকাবিলা করে ব্যক্তিগতভাবে ১২ রান করেন তিনি। সরফরাজ ফিরে গেলে ইমাদ ওয়াসিমের সতীর্থ হন শাদাব খান। তিনি দুই বলে এক রান তুলতেই বৃষ্টি নামে। বৃষ্টি থামলেই পাকিস্তানের সামনে নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪০ ওভারে ৩০২ রান। তাতে তারা ২১২ রান তুলতে সক্ষম হয়। ইমাদ ওয়াসিম ৪৬ এবং শাদাব খান ২০ রানে অপরাজিত থাকেন। ভারতের পক্ষে বিজয় শংকর ও যুজবেন্দ্র চাহাল দুটি করে এবং ভুবনেশ্বর কুমার ও হার্দিক পান্ডিয়া একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে পাঁচ উইকেটে ৩৩৬ রান সংগ্রহ করে ভারত। রোহিত শর্মা ওপেন করতে নামেন লোকেশ রাহুলকে নিয়ে। খেললেন অন্যদিনের মতোই। যেন বলছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে ম্যাচ, তাতে কী! এত চাপ নেওয়ার কী আছে? ৫৭ রানে আউট হন তিনি। রোহিত শর্মা করেন সর্বোচ্চ ১৪০ রান। মাত্র ৮৬ বল খেলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। হাসান আলীর বলে ওয়াহাব রিয়াজের কাছে ক্যাচ দেন তিনি।
পরে হার্দিক পান্ডিয়া এসে ১৯ বলে ২৬ রান করে আউট হন। বিজয় শঙ্কর আউট হন তিন রানে। ৪৬ ওভারের দিকে ভারতের সাবেক অধিনায়ক এম এস ধোনি আউট হন। এরপরই বৃষ্টি নামে। বৃষ্টির আগে ৪৬ ওভার চার বলে চার উইকেটে ৩০৫ রান করে ভারত। পাকিস্তানের পক্ষে আমির ১০ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন। কিন্তু হাসান আলী নয় ওভারে ৮৪ রান দেন। ইমাদ, শাদাব ও শোয়েব মালিকও ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের চাপে ফেলতে পারেননি। আজকের খেলা- বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ (বিকাল সাড়ে তিনটা)