বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)

1125

‘মোস্তফা জানে রহমত পে লাখো সালাম
শময়ে বজমে হেদায়ত পে লাখো সালাম’
১২ রবিউল আউয়াল গোটা জগতের মুসলমানদের আবেগ, অনুরাগ আর উচ্ছ¡াসে একাকার হওয়া প্রাণ মন আকুল করা দিন। আজ থেকে প্রায় ১৪’শ বছর পূর্বে ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে এ দিনে সুবহে সাদিকের সময় মক্কা নগরীর সম্ভ্রান্ত কুরাইশ বংশে মা আমেনার কোল আলো করে প্রিয় নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বিশ্বনবী, সকল রাসূলদের ইমাম ও মানবতার মুক্তিদূত হযরত মুহাম্মদ (সা.) আসেন এই ধরায়। তিনি নবীদের সর্দার কিয়ামত পর্যন্ত আগত সব মানুষ ও জিনের জন্য নবী। তিনি আল্লাহর সৃষ্টির সকল কিছুর জন্য রহমত। তাঁর স্থান ও মর্যাদার সাক্ষ্য পবিত্র কোরআনসহ সকল আসমানি কিতাবে রয়েছে। প্রিয় নবীজী (সা.) শান ও মান প্রসঙ্গে কিছু তথ্য এ নিবন্ধে উপস্থাপন করা হলো:
পবিত্র আল-কুরআনে আল্লাহ বলেন, ‘আমি আপনাকে বিশ্ব জগতের জন্য কেবল রহমত স্বরূপই প্রেরণ করেছি’ (২১:১০৭)
পবিত্র কোরআনে নবী-রাসুলদের (আ.) মৌলিক চারটি কাজের কথা বলা হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে একজন রাসুল প্রেরণ করেছে, যিনি তাদেরকে তাঁর আয়াতগুলো পড়ে শোনান, তাদেরকে পরিশুদ্ধ করেন এবং কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেন। অথচ এর আগে তারা সুস্পষ্ট গোমরাহিতে নিমজ্জিত ছিল।’ (সূরা : জুমুআ, আয়াত : ২)
অন্য আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আমি সুসংবাদদাতা ও সাবধানকারী রাসুল প্রেরণ করেছি, যাতে রাসুল আগমনের পর আল্লাহর বিরুদ্ধে মানুষের কোনো অভিযোগ না থাকে। আল্লাহ পরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ১৬৫)
নবী রাসুলদের (আ.) কর্মপদ্ধতি ছিল উচ্চতর প্রজ্ঞা ও কল্যাণকামিতায় ভরপুর। আল্লাহ তা’আলা বলেন, ‘আল্লাহর পথে মানুষকে হিকমত ও উত্তম উপদেশ সহকারে দাওয়াত দাও।’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ১২৫) আল্লাহ তা’আলা তাদের অন্তরে উম্মতের জন্য, বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য অপরিসীম ভালোবাসা দান করেছিলেন। ফলে তাঁরা দ্বীনের দাওয়াত শুধু দায়িত্ব হিসেবে দিতেন না; বরং তাঁদের সত্তাগত তাড়নাও কাজ করত। আল্লাহ মহানবী (সা.)-কে সান্ত¦না দিয়ে বলেন, ‘আপনাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য আমি আপনার প্রতি কোরআন অবতীর্ণ করিনি; কিন্তু এটা তাদেরই উপদেশের জন্য, যারা ভয় করে।’ (সূরা : ত্বহা, আয়াত : ১-৩)
মুহাম্মদ (সা.) সর্বকালের সবার রাসুল :
পৃথিবীতে নবী-রাসুলদের আগমনের ধারাক্রম মুহাম্মদ (সা.) এর মাধ্যমে শেষ হয়েছে। তাঁর পরে আর কোনো নবী আসবেন না। ফলে তিনি সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রেরিত হয়েছেন। কিয়ামত পর্যন্ত আগত সব মানুষ ও জিন তাঁর আনীত শরিয়ত (জীবনবিধান) মানতে বাধ্য। আল্লাহ তা’আলা বলেন, ‘বলুন, হে মানবজাতি। আমি তোমাদের সবার প্রতিই আল্লাহর রাসুল হিসেবে প্রেরিত হয়েছি।’ (সূরা : আরাফ, আয়াত : ১৭৫) আল্লাহর মহানবী (সা.)-কে মানবতার মুক্তির দূত ও সৃষ্টিজগতের জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছেন। পবিত্র কোরআনের ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি আপনাকে সমগ্র জগতের প্রতি শুধু রহমতরূপে প্রেরণ করেছি।’ (সুরা : আম্বিয়া, আয়াত : ১০৭)
আল্লাহ তা’আলা মুহাম্মদ (সা.) কেই শুধু সম্মানিত করেননি; বরং তার উম্মতকেও সম্মানিত করেছেন। তাদের অন্য উম্মতের জন্য সাক্ষ্য ও আদর্শ বানিয়েছেন। আল্লাহ বলেন, ‘এভাবে আমরা তোমাদের একটি উত্তম জাতিরূপে গড়ে তুলেছি, যাতে তোমরা গোটা মানবজাতির জন্য সত্যের সাক্ষ্যদাতা হতে পারে এবং রাসুল যেন তোমাদের সাক্ষ্য বা নমুনা হন।’(সূরা : বাকারা, আয়াত : ১৪৩)
মুহাম্মদ (সা.) সুসংবাদদাতা ও উজ্জ্বল প্রদীপ :
কোরআনুল কারিমে আল্লাহ তা’আলা মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রশংসায় বলেন, ‘হে নবী! আমরা আপনাকে পাঠিয়েছি সাক্ষ্যদাতা, সুসংবাদদাতা, ভীতি প্রদর্শক ও উজ্জ্বল প্রদীপরূপে।’ (সূরা : আজহাব, আয়াত : ৪৫-৪৬) অন্য আয়াতে রাসুলে দায়িত্ব সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘যেমন আমি তোমাদের থেকেই তোমাদের মধ্যে একজন রাসূল পাঠিয়েছি। সে তোমাদের আমার আয়াত পড়ে শোনাবে, তোমাদের জীবনকে পরিশুদ্ধ ও বিকশিত করে তুলবে।’ (সূরা : বাকারা, আয়াত : ১৫১)
মুহাম্মদ (সা.) এর প্রতি ভালোবাসা :
রাসুলুল্লাহ (সা.) এর প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা ঈমানের অংশ। আর ভালোবাসার প্রকাশ হবে তাঁর আনুগত্যের মাধ্যমে। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে নবী! আপনি বলে দিন যে যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসো তাহলে আমার অনুকরণ করো, আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন।’ (সূরা : আলে ইমরান, আয়াত : ৩১) রাসুলুল্লাহ (সা.) ছিলেন আনুগত্যের জন্য সর্বোত্তম ব্যক্তি। আল্লাহ বলেন, নিশ্চয় তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসুলের জীবনেই রয়েছে সর্বোত্তম আদর্শ।’ (সুরা : আহজাব, আয়াত : ২১) অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয় আপনি উত্তম চরিত্রের ওপর অধিষ্ঠিত।’ (সূরা : কালাম, আয়াত : ৪) মহানবী (সা.) এর আনুগত্যের মাধ্যমেই মানুষ অন্ধকার থেকে আলোর পথ লাভ করতে পারবে। আল্লাহ বলেন, ‘এটি একটি গ্রন্থ, যা আমি আপনার প্রতি নাজিল করেছি, যদি আপনি মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে বের করে আনেন, পরাক্রান্ত ও প্রশংসার যোগ্য রবের নির্দেশের তাঁরই পথের দিকে।’ (সূরা : ইবরাহিম, আয়াত : ১)
সর্বপ্রথম জান্নাতে প্রবেশ করবেন :
সমগ্র মানব ও জিন জাতির মধ্যে মুহাম্মদ (সা.) সর্বপ্রথম জান্নাতে প্রবেশ করবেন। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, কিয়ামতের দিন আমি বেহেশতের দরজায় এসে দরজা খুলতে বলব। তখন বেহেশতের প্রহরী এসে বলবে, আপনি কে? আমি বলব মুহাম্মদ। তখন বেহেশতের প্রহরী বলবে, আপনার বিষয়ে আমাকে আদেশ দেওয়া হয়েছে, যেন আপনার আগে আর কারো জন্য দরজা না খুলি।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস : ৫১১)
নবী-রাসূলদের সরদার :
মহানবী মুহাম্মদ (সা.) এর একটি উপাধি সাইয়্যিদুল আম্বিয়া বা নবীদের সর্দার। আল্লাহ তা’আলা তাঁকে সব নবী-রাসুলের ওপর নেতৃত্বের মর্যাদা দান করেন। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, একবার সাহাবায়ে কেরাম পরস্পর বসে নবীদের সম্পর্কে আলোচনা করছিলেন। এমন সময় রাসুল (রা.) ঘর থেকে বাইরে এলেন এবং তাঁদের এই আলোচনা শুনতে পেলেন। একজন বললেন, ‘আল্লাহ ইবরাহিম (আ.)-কে তাঁর বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করছেন। অন্যজন বললেন, মুসা (আ.) এর সঙ্গে আল্লাহ কোনো মাধ্যম ছাড়াই সরাসরি কথা বলেন। আরেকজন বললেন, ঈসা (আ.) তো আল্লাহর ‘কালিমা’ অর্থাৎ তিনি বাহ্যিক কোনো উপকরণ ছাড়াই আল্লাহর নির্দেশ ‘হয়ে যাও’-এর মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে। শৈশবে দোলনা থেকেই তিনি মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁকে আল্লাহ নিজের ‘রুহ’ বলে অভিহিত করেছেন। আরেকজন বললেন, আদম (আ.) কে আল্লাহ বিশেষভাবে সম্মানিত করেছেন। অত:পর রাসূল (সা.) তাঁদের সামনে উপস্থিত হলেন এবং বললেন, আমি তোমাদের কথা এবং নবীদের সম্মানের ব্যাপারে বিস্মিত হয়ে দেখেছি। তোমরা বলছিলে, ইবরাহিম (আ.) আল্লাহর বন্ধু। তিনি এ রকমই। মুসা (আ.) আল্লাহর সঙ্গে কথা বলেছেন। নিঃসন্দেহে তিনিই এরকমই। ঈসা (আ.) আল্লাহর বাণী ও তাঁর রুহ। নিশ্চয়ই তিনি তাই। আদম (আ.) কে আল্লাহ সম্মানিত করেছেন। তিনিও বাস্তবে তা-ই ছিলেন। কিন্তু শুনে রাখো, আমি হলাম আল্লাহর হাবিব, অর্থাৎ প্রিয়তম। এটা আমার অহংকার নয়। কিয়ামতের দিন আমিই প্রশংসার ঝান্ডা উদ্দীন করব। যার নিচে থাকবেন আদম (আ.) সহ অন্যরাও। কিয়ামতের দিন আমিই প্রথম সুপারিশকারী হব এবং আমার সুপারিশই সর্বপ্রথম কবুল হবে। এতে কোনো অহংকার নেই। আমি প্রথম ব্যক্তি হিসেবে বেহেশতের দরজায় কড়া নাড়ব। অতঃপর আল্লাহ বেহেমতের দরজা খুলে আমাকে প্রবেশ করাবেন। সে সময় আমার সঙ্গে থাকবে দরিদ্র মুসলিমরা। এটাও আমি অহংকার করে বলছি না। পূর্বাপর সব মানুষের মধ্যে আল্লাহর কাছে আমি সর্বাধিক সম্মানিত। এতেও অহংকার নেই। (মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস : ৫২৩)
অনন্য পাঁচ বৈশিষ্ট্য :
জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, আমাকে এমন পাঁচটি বৈশিষ্ট্য প্রদান করা হয়েছে, যা এর আগে কোনো নবীকে দেওয়া হয়নি। ক) এক মাসের পথের দূরত্ব পর্যন্ত শত্রæপক্ষের অন্তরে আমার ভীতি সঞ্চারিত করে আমাকে সাহায্য করা হয়েছে। খ) সমগ্র ভূখÐকে আমার জন্য মসজিদ এবং পবিত্রকারী অর্থাৎ নামাজ ও তায়াম্মুমের উপযুক্ত বানানো হয়েছে।গ) আমার জন্য গনিমতের মাল হালাল করা হয়েছে, যা এর আগে কোনো নবীর জন্য হালাল করা হয়নি।ঘ) আমাকে মহান সুপারিশের দায়িত্ব দিয়ে সম্মানিত করা হয়েছে। ঙ) পূর্বেকার সব নবী নিজ জাতির কাছেই প্রেরিত হতেন আর আমি পৃথিবীর সব মানুষের কাছে প্রেরিত হয়েছি। (মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস : ৫১২)
কিয়ামত দিবসে সুপারিশকারী :
কিয়ামতের দিন মহানবী (সা.) নবী-রাসুলদের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। উবাই ইবনে কাব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, কিয়ামতের দিন আমি নবীদের ইমাম ও খতিব (মুখপাত্র) হব, আমি সবার সুপারিশকারী হব। এ কথা আমি অহংকার ছাড়াই বলছি। (মিশকাত, হাদিস : ৫১৩)
দ্বিনের পূর্ণতার জন্য মহানবী (সা.) এর আগমন :
পৃথিবীতে নবী-রাসুলদের আনীত ধর্ম ও শিক্ষার পূর্ণতা দান করেছিলেন মুহাম্মদ (সা.)। জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেন, আল্লাহ আমাকে সচ্চরিত্র এবং ভালো কাজগুলোর পূর্ণতা দেওয়ার জন্য পাঠিয়েছেন। (মিশকাত, হাদিস : ৫১৪)
মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে আগের ধর্মের ভবিষ্যদ্বাণী :
মহানবী (সা.) সম্পর্কে ওল্ড টেস্টামেন্টে বলা হয়েছে, ‘আদি পুরুষ আদম (আ.) থেকে সপ্তম মহাপুরুষ ইনোচ ভবিষ্যদ্বাণী করেন যে, প্রভু (মহান নেতা অর্থে) তাঁর ১০ হাজার সাধকসহ আগমন করবেন সবার ওপর ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে এবং সব পাপ কাজ ও অন্যায় বাক্য মোচন করতে।’
ধারণা করা হয়, এর দ্বারা রাসুল (সা.) এর মক্কা বিজয়ের দিক ইঙ্গিত করা হয়েছে। কেননা তিনি ১০ হাজার সাহাবি নিয়ে মক্কা বিজয় করেন। নবী সুলাইমান (আ.) একই রকম ভবিষ্যদ্বাণী করেন। তিনি বলেন, আমার প্রিয় ব্যক্তি শুভ্র ও গোলাপি। তিনি ১০ হাজারের নেতা। জন [ঈসা (আ.) এর পর খ্রিষ্টধর্মের প্রচার করেন। কেউ কেউ তাঁকে নবী দাবি করেছেন] স্বীকার করেন যে, তিনি খ্রিস্ট নন। তখন তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, তাহলে আপনি কে, আপনি কি ইলিয়াছ? তিনি বলেন, না। তারপর তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, আপনি কি সেই প্রতিশ্রুত নবী? তিন বললেন, না। তারা তাঁকে জিজ্ঞাস করল, আপনি যদি ক্রিস্ট বা ইলিয়াছ বা সেই নবী না হন, তাহলে আপনি অভিষেক করেছেন কেন? তিনি বললেন, আমি অভিষেক করছি। কিন্তু এমন একজন আছেন, যাঁকে তোমরা জানো না। তিনি আমার পরে আসবেন, তাঁর জুতার ফিতা খুলে দেওয়ারও যোগ্য আমি নই।
ঈসা (আ.) এর ভবিষ্যদ্বাণী :
মহানবী (সা.)-এর আগমনের সুসংবাদ দিয়ে ঈসা ইবনে মারইয়াম (আ.) বলেন, আর আমি তোমাদের সঙ্গে বেশি কথা বলব না। কারণ এই বিশ্বের সম্রাট আসছেন এবং আমার মধ্যে কিছুই নেই।
পার্সি ধর্মশাস্ত্রের ভবিষ্যদ্বাণী :
পার্সি বা জরথুষ্ট্র ধর্মের প্রবর্তক জরথুষ্ট্রের উদ্দেশে বলা হয়েছে, ‘আমি ঘোষণা করছি, হে প্রিয় জরথুষ্ট, পবিত্র আহমদ নিশ্চয় আসবেন, যাঁর কাছ থেকে তোমরা সৎচিন্তা, সৎবাক্য, সৎকাজ ও বিশুদ্ধ ধর্ম লাভ করবে।’
সনাতন ধর্মের গ্রন্থ বেদে মহানবী (সা.) :
বলা হয়েছে, ‘ইদং জন্য উপশ্রুত নরাশংস ভবিষ্য’, অর্থাৎ প্রশংসিত মানুষ পরবর্তী যুগের মানুষ হবে। নরাংশ অর্থ প্রশংসিত মানুষ। আর মুহাম্মদ অর্থও প্রশংসিত মানুষ। (অর্থববেদ সংহতি ২০/১২৭/১; ২০ কাÐ-অনুবাদক-১৩ সুক্ত-১শ্লোক)
মহানবী (সা.) যিনি শত্রু মিত্র সবার কাছে প্রশংসার যোগ্য। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে কতিপয় মানুষ তারা পবিত্র ইসলাম ধর্মকে হাতিয়ার করে দেশ ও জাতিকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও অনৈসলামি মানবতাবিরোধী এ কর্মকান্ডকে রুখে দাঁড়াতে হবে।
আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে বললেন, হে বৎস! তোমার অন্তরে কারো সম্পর্কে হিংসা-বিদ্বেষহীন অবস্থায় যদি তুমি সকাল-সন্ধ্যা কাটাতে পারে, তবে তুমি তা করো। অতঃপর রাসুল (সা.) বললেন, হে বৎস! এটা আমার সুন্নাত। আর যে আমার সুন্নাতকে ভালোবাসল নিঃসন্দেহে সে আমাকে ভালবাসল। আর যে আমাকে ভালবাসল, সে বেহেশতে আমার সঙ্গেই থাকবে। (মিশকাত, হাদিস : ৩০)
লেখক: প্রাবন্ধিক, সংগঠক