বিমানবন্দর সড়কের যান চলাচল প্রতিবন্ধকতামুক্ত রাখার আহবান

36

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সড়কটি যান ও জনগণের চলাচল প্রতিবন্ধকতামুক্ত রাখতে সংশ্লিষ্ট সকল মহলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন জনদুর্ভোগ লাঘবে জনতার ঐক্য চাই শীর্ষক নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। তিনি শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টায় নগরীর জামালখানস্থ একটি বেসরকারি সংস্থার কার্যালয়ে নাগরিক উদ্যোগের সভায় উপরোক্ত মত প্রকাশ করেন।
এ সময় সুজন বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে পর্যবেক্ষণ করছি শাহ আমানত আন্তর্জাতিক সড়কটি যান ও জনগনের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সে অবস্থা আরো মারাত্নক হয়ে উঠেছে যা নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক। একদিকে নগরীর ভাঙ্গা রাস্তা অন্যদিকে বৃষ্টির কারণে বিমানবন্দর সড়কটি বাকী শহর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ঘন্টার পর ঘন্টা গাড়ীতে অবস্থান করেও কর্মজীবী নারী-পুরুষ তাদের কর্মস্থলে সময়মতো পৌঁছাতে পারছে না। অন্যদিকে নিজ গন্তব্য থেকে কয়েক ঘন্টা আগে বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েও সময়মতো ফ্লাইট ধরতে ব্যর্থ হয়েছে হাজীসহ বিদেশগামী যাত্রীগণ। নির্ধারিত সময়ের এক থেকে দেড় ঘন্টা পরে বিমান ছাড়লেও দেখা যাচ্ছে হজ্ব যাত্রীর আসন শুন্য। আর যারা কোনভাবে ফ্লাইট ধরতে পেরেছে তাদেরকে সৌদি আরবের জেদ্দা বিমানবন্দরে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। এই বিমানবন্দর সড়কের প্রধানতম প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে বিমানবন্দর সড়কের আশেপাশে গড়ে উঠা অবৈধ অফ ডক কন্টেইনার ইয়ার্ডগুলো। চট্টগ্রাম বন্দর কর্র্তৃপক্ষের বিধি নিষেধে ২০ কিলোমিটারের ভিতর অফ ডক কন্টেইনার ইয়ার্ড নির্মাণের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও কি কারণে বন্দর কর্তৃপক্ষ জেগে থেকে ঘুমের ভান করছে তা আমাদের বোধগম্য নয়। আমরা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্র্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে আহবান জানাতে চাই বিমানবন্দর সড়কটিকে বাঁচাতে হলে একটি সুষ্ঠু স্থায়ী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের কোন বিকল্প নেই। আপাততঃ ভোর ৬টা থেকে সকাল ১০টা এবং বিকাল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত যদি বিমানবন্দর সড়কে লরি, ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ ভারী যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা যায় তাহলে পুরো নগরবাসী এর সুফল পাবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।
তিনি আরো বলেন, বর্ষা মৌসুম আসার পূর্বেই জনদুর্ভোগের কথা মাথায় রেখে আমরা বিভিন্ন সেবা সংস্থার কাছে গিয়ে জনদূর্ভোগ লাঘবে আগাম ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ জানিয়েছিলাম কিন্তু সে অনুরোধ অরণ্য রোদনে পর্যবসিত হয়েছে। ফলতঃ এ কয়দিন নগরবাসীকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। টাকার অংকে সামগ্রিক ক্ষয়ক্ষতি হাজার কোটি টাকার উপরে ছেড়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের উন্নয়নের প্রতি আন্তরিক বিধায় একের পর এক মেগা প্রকল্পের অনুমোদন এবং বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক অর্থও বরাদ্দ করেছে। যা এ যাবতকালে অন্যান্য সরকারের তুলনায় সর্বোচ্চ। তারপরও নগরবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যা দুর্ভাগ্যজনক।
নাগরিক উদ্যোগের উপদেষ্টা হাজী মো. ইলিয়াছের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন আব্দুর রহমান মিয়া, সাইদুর রহমান চৌধুরী, সংগঠনের সদস্য সচিব হাজী মো. হোসেন, মো. নিজাম উদ্দিন, মোরশেদ আলম, ছালেহ আহমদ জঙ্গী, অধ্যক্ষ কামরুল হোসেন, হাফেজ মো. ওকার উদ্দিন, মো. শাহজাহান, শেখ মামুনুর রশীদ, জাহাঙ্গীর আলম, সোলেমান সুমন, সমীর মহাজন লিটন, স্বরূপ দত্ত রাজু, এম ইমরান আহমেদ ইমু, মো. ওয়াসিম, মো. মাহফুজ, মনিরুল হক মুন্না প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি