বিচারের দাবিতে একাই আন্দোলনে চবি শিক্ষার্থী

12

বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়েছেন এক শিক্ষার্থী। পূজার ছুটিতে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকলেও প্রতিবাদ জানাতে একাই শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়েছেন খালেদ সাইফুল্লাহ নামে পরিসংখ্যান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ওই শিক্ষার্থী। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে অনুমতি না নেয়ায় সেখান থেকে তাকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যায়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে চার ঘণ্টা অবস্থান করেন তিনি। এ সময় ‘আবরার হত্যার বিচার চাই’, ‘আমাকে মারলে বাংলাদেশই মরবে’, ‘ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করুন’, ‘আমি রাষ্ট্রদ্রোহী নই’, ‘আমি কোনো দল করি না’ হাতের লেখা সংবলিত নানা পোস্টার প্রদর্শন করেন খালেদ সাইফুল্লাহ।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় শুধুমাত্র মতপ্রকাশের কারণে একজন ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হবে, এটা মেনে নেয়া যায় না। ভিন্ন মতাদর্শ থাকবে। ভিন্নমত যদি রাষ্ট্রবিরোধী হয় তাহলে প্রশাসনকে জানাতে পারে। আঘাত করার অধিকার তো নেই কারও। কোনো শিক্ষার্থী যদিও ভুল করে তার বিচার করার দায়িত্ব প্রশাসনের। তারই হলের বড় ভাই হলেই আপনি তাকে পিটিয়ে হত্যা করতে পারেন না। নৈতিক অবস্থান থেকেই আমার এই প্রতিবাদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হয়ে প্রতিবাদ জানানো আমার অধিকার। কিন্তু প্রশাসন থেকে অনুমতি না নেয়ায় আমাকে প্রক্টর এখান থেকে উঠে যেতে বলেছেন।
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর রেজাউল করিম বলেন, সরকার আবরার হত্যার ঘটনায় ব্যবস্থা নিচ্ছে- ওই শিক্ষার্থীকে সেটা বোঝানোর পর অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরে আসে। তাছাড়া মানববন্ধন বা প্রতিবাদী অবস্থানের বিষয়ে ওই শিক্ষার্থী অনুমতি নেয়নি। অনুমতি ছাড়া এমন কিছু করা যায় না।