বিকেএমইএ’র সব কারখানায় ছুটি

23

বিজিএমইএর পর রপ্তানিমুখি নিট পোশাক প্রস্তুতকারীদের সংগঠন বিকেএমইএ তাদের সদস্যভুক্ত সব কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণার নির্দেশ দিয়েছে।
কারখানা ছুটির সময়ে শ্রমিকরা যেন নতুন কোনো গন্তব্যে না গিয়ে নিজ নিজ অবস্থানে থাকেন সেই নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে বিকেএমইএর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনের সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। খবর বিডিনিউজের
বিকেএমইএর অধীনে দুই হাজার ২৮৩টি কারখানা রয়েছে, যেগুলোতে কর্মরত আছেন অন্তত ২৫ লাখ শ্রমিক। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুসরণ করে আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি দিতে বলেছে বিকেএমইএ।
এর আগে শুক্রবার রাতে পোশাক রপ্তানিকারকদের আরেক সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হকও তার সংগঠনের সদস্যদের কারখানা বন্ধ রাখার পরামর্শ দেন।
কারখানার মালিকদের উদ্দেশে সেলিম ওসমান বলেন, “করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে বাঁচাতে নিট পোশাক কারখানা আপাতত ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখুন। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস সংক্রমণে যে ক্ষতিকর প্রভাব বাংলাদেশে পড়েছে, তা থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে বাঁচানোই এ মুহূর্তে আমাদের সবার লক্ষ্য। মানুষ বাঁচলে শিল্প বাঁচবে এবং শিল্প বাঁচলে দেশ সমৃদ্ধ হবে।
“কারখানা ছুটিকালীন সময়ে শ্রমিকরা যে যেখানে অবস্থান করছে সে যেন সেখানেই অবস্থান করে তা নিশ্চিত করতে হবে। তারদের বোঝাতে হবে, এটা কোনো ঈদ বা উৎসবের ছুটি নয়। তাই যে যেখানে অবস্থান করে, তাকে সেখানেই থাকতে হবে।”
এর আগে আরেক চিঠিতে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস ও পরের দিন শুক্রবার কারখানা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বিকেএমইএর পক্ষ থেকে। তখন বলা হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রীর জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণের দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করে পরবর্তীতে কারখানা বন্ধের বিষয়ে আরও বিশদ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
“মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রপ্তানীমুখী শিল্পকে করোনাভাইরাস আক্রান্ত অর্থনৈতিক মন্দা থেকে রক্ষার জন্য বিশাল প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। এছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা এই শিল্পখাতের জন্য প্রদান করেছেন। এমন প্রেক্ষাপটে আমাদের কারণে কোনো শ্রমিকের যেন কোনো রূপ ক্ষতি না হয়, সেজন্য কোনোভাবেই আতঙ্কিত না হয়ে, দেশ ও দেশের মানুষকে বাঁচানোর জন্য সরকারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সাদৃশ্য রেখে বিকেএমইএ’র সদস্যভুক্ত সব নিট পোশাক কারখানা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে,” বলেন জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় এই সংসদ সদস্য।