বাঁশখালীতে দুই পক্ষের মারামারি আহত ১২

118

বাঁশখালীতে নালা খননকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। গতকাল বিকেলে কালীপুর ইউনিয়নের রামদাসহাট এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চিকিৎসক মোহাম্মদ ফারুক এবং স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ারুল আজিমের লোকজনের মধ্যে পানি নিষ্কাশনের নালা খননকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ১২ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন- মোকতার আহমদ, সৈয়দুল আলম, নুরুল আলম, মো. এনাম, মো. আরাকান, মো. আলমগীর, আজম উদ্দিন, আবদুস সাত্তার, আনোয়ারুল আজিম, মোরশেদুল আলম, জোবাইর আলম এবং মো. এরশাদ। এরমধ্যে আহত এরশাদ ছাড়া বাকিরা মারামারিতে লিপ্ত হওয়া দুইপক্ষের সমর্থক। নিজেকে গণমাধ্যমের সংবাদকর্মী পরিচয় দিয়ে এরশাদ বলেন, আমি একটি পত্রিকার সংবাদকর্মী হিসেবে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সমর্থকরা আমার উপর এ হামলা চালিয়েছে।
বাঁশখালী হাসপাতালে আহতদের দেখতে গিয়ে ডা. মোহাম্মদ ফারুক সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ারুল আজিম বিনা কারণে গালাগালি করে আমাদের ওপর চড়াও হয়েছে। পূর্বপরিকল্পিতভাবে তারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
কালীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এড. আনম শাহাদাত আলম সাংবাদিকদের বলেন, ৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পের অংশ হিসেবে পানি নিষ্কাশনের নালা খননকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনাটি ঘটে। গুনাগরি আশ্রম এলাকার ফটকের কাছে মো. ফারুকের মার্কেটের সামনে স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ারুল আজিম শ্রমিক দিয়ে নালা পরিষ্কার করতে গেলে ঝামেলা বাঁধে।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।