বইমেলায় শেষ মুহূর্তে উপচেপড়া ভিড়

42

চট্টগ্রামে অমর একুশে বইমেলার মেয়াদ আরও দুইদিন বেড়েছে। লেখক প্রকাশক ও শুভানুধ্যায়ীদের অনুরোধে মেলা আজ শুক্রবার এবং আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আয়োজকরা। এদিকে শেষ মুহূর্তে গতকাল সারাদিন মেলা প্রাঙ্গণে ছিল উপচেপড়া ভিড়। বইয়ের টানে মেলা প্রাঙ্গণে এসেছেন সবাই। কয়েকদিনের বৈরী আবহাওয়াকে চ্যালেঞ্জ করে প্রাণের মেলায় মিলিত হয়েছেন সবাই। বই বিক্রিতেও অন্যান্য দিনের চেয়ে একটু বেশি চাপ ছিলো স্টলগুলোতে। শেষ দিনে বইয়ের টানে আসা বইপ্রেমীদের বিশেষ ছাড়ও দিয়েছে কিছু কিছু স্টল।
নিয়মিত সূচি অনুযায়ী গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় মেলার দ্বার উন্মুক্ত হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু মেলা প্রাঙ্গণে বইপ্রেমীদের আনাগোনা শুরু হয় দুপুর দুইটার পর থেকেই। সব বয়সী মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে বইমেলা প্রাঙ্গণ। স্টলে স্টলে বইয়ের খোঁজেন পাঠক-দর্শনার্থীরা। উপচেপড়া ভিড় সব স্টলে।
অমর একুশে বইমেলার যুগ্ম সচিব জামাল উদ্দিন বলেন, শুরু থেকে বইমেলা মুখর ছিলো। মাঝখানে দুইদিন বৈরী আবহাওয়ার কারণে লোক সমাগম কম ছিলো। এবারের বইমেলা পুরোপুরি সফল একটা বইমেলা। আগামীতে এই বইমেলা আরো বৃহৎ আকারে হবে বলে আশা করছি।
এদিকে শেষ দিনে বইপ্রেমীর প্রচন্ড ভিড় ছিল মেলায়। স্টলগুলোতে ঘুরে ঘুরে বই দেখেন বইপ্রেমীরা। নির্ধারিত ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত ছাড়ে অনেক স্টলে শেষ দিনে বই বিক্রি করেছে অনেক প্রকাশনী। ছাড় পেয়ে অনেকেই প্রয়োজনীয় বই কিনে নিয়েছেন।
মেলায় আসা রিদুয়ানুল হক বলেন, মেলায় আসবো আসবো করে আসা হয়নি। শেষ দিনে আসলাম কিছু প্রয়োজনীয় বই কেনার জন্য। শেষ দিনে স্টলগুলো ছাড়ও দিল।
অক্ষরবৃত্ত প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মীরা জানান, আমরা চাই পাঠকরা বইয়ে আরও আগ্রহী হয়ে ওঠুক। নির্দিষ্ট পরিমাণ ছাড়ের বাইরেও কিছু বইয়ে ছাড় দিচ্ছি।
টানা ১৯ দিনব্যাপী বইমেলায় মুখরিত ছিলো জিমনেশিয়াম প্রাঙ্গণ। লেখক-পাঠক ও প্রকাশকদের পদচারণায় প্রাণচঞ্চল ছিলো জিমনেশিয়াম এলাকা। শুরু থেকেই প্রাণের উচ্ছাস ছিলো মেলায়। তবে শেষের দিকে এসে দুইদিন বৈরী আবহাওয়ার কারণে মেলায় বইপ্রেমীদের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার আবারও পাঠক-দর্শনার্থীদের ভিড় পড়ে যায়।
সৃজনশীল প্রকাশনা পরিষদের সহায়তায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ১৯ দিনব্যাপী এ বইমেলার আয়োজন করেছে। মেলায় ঢাকা ও চট্টগ্রামের ১১০টি প্রকাশকের স্টল রয়েছে। আশি হাজার বর্গফুটেরও বেশি জায়গাজুড়ে বইমেলায় সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিলো। শেষ দিনে বইমেলার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান নওফেল। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্বে করেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।