ফিরে তাকায়নি পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কেউ

43

পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এক গর্ভবতী প্রসূতি প্রতিবন্ধী নারী প্রসব বেদনায় কয়েক দিন ধরে অবস্থান করলেও দায়িত্বরত কেউ তাকে সেবা দেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে অসহায় প্রতিবন্ধী ওই নারীকে নিজ খরচে এ্যম্বুলেন্স ভাড়া করে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার জন্য পাঠান পটিয়া থানার ওসি বোরহান উদ্দীন। গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কুমিল্লা জেলার অধিবাসী সুমি (৩০) নামের এক অসহায় প্রতিবন্ধী নারী কয়েক দিন ধরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে গর্ভ অবস্থায় প্রসব বেদনা নিয়ে কাতারাচ্ছিলেন। অথচ ১০ গজের ব্যবধানে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। স্থানীয়রা একাধিকবার অনুরোধ করেছিলেন অসহায় মহিলাটিকে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য। কিন্তু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তারা আসন সংকটের অজুহাত দেখিয়ে অসহায় মহিলাটিকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে রাজি হননি।
পরে স্থানীয় লোকজন পটিয়া থানার ওসিকে এই বিষয়টি অবহিত করলে ওসি বোরহান উদ্দীন তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পরে ওসি নিজেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তাকে অনুরোধ জানান। কিন্তু তাতেও মন গলেনি চিকিৎসকের। পরে ওসি এম্বলেন্স ভাড়া করে ওই নারীকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করে। পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবু মোহাম্মদ ইউসুফ ওয়াহিদ উল্লাহ জানান, ‘আমি জানতে পেরেছি মহিলাটি গর্ভবর্তী ও মানসিক সমস্যা রয়েছে। মেডিকেলে আসন সংকটের কারণে তাকে ভর্তি করানো হয়নি।’ প্রত্যক্ষর্দী স্থানীয় ব্যবসায়ী গাজী মোহাম্মদ আনোয়ার জানান, কয়েকদিন ধরে অসহায় মহিলাটি গর্ভ অবস্থায় প্রসব বেদনায় যন্ত্রণা নিয়ে কাতরাচ্ছিলেন। পটিয়া মেডিকেলের চিকিৎসকদের জানালেও কেউ এগিয়ে আসেনি। পরে থানার ওসিকে অবহিত করলে তিনি নিজের পকেটের টাকা দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থ করেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ি আইসি আলাউদ্দীন জানান, ‘পটিয়া থানার ওসির অনুরোধে অসহায় মহিলাটিকে চমেক হাসপাতালের ৩৩ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়েছে। তার চিকিসার খোঁজ খবর নিচ্ছি আমরা নিয়মিত।’
পটিয়া থানার ওসি বোরহান উদ্দীন জানান, ‘গর্ভবর্তী এক অসহায় মহিলা প্রসব বেদনায় কাতর হওয়ার খবর শুনে আমি নিজেই ঘটনাস্থলে যায়, পরে উজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানালেও মেডিকেলে আসন নাই বলে জানায়।
শেষে আমি একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে চট্টগ্রাম শহরের চমেক হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করি। এই মহিলার সন্তান প্রসব হয়ে সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়া পর্যন্ত আমি খোঁজ খবর রাখব। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় দুই বছর ধরে পরচিয়হীন ওই পাগলি পটিয়া শহরে ঘুরে বেড়াতো।
অসহায় পাগলি এক বা একাধকি নরপশুর ধর্ষণের শিকার হতে পারে বলে প্রশাসনের ধারণা। নরপশুর লালসার শিকার হয়ে মানসিক রোগী গর্ভবতী হয়েও শহররে ঘুরে বেড়িয়েছেন র্দীঘদিন ধরে। কেউ তার খোঁজ নেয়নি। গত কয়কেদিন আগে থেকে সে র্গভধারণ জনিত অসুস্থ অবস্থায়ও ঘুরাঘুরি করতে দেখে বলে জানান স্থানীয়রা।