প্রধানমন্ত্রীর চা-চক্রে রাজনীতিবিদদের মিলনমেলা

46

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে যেসব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ হয়েছিল সেই দল ও জোটের নেতাদের সম্মানে চা-চক্রের আয়োজন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল শনিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনের দক্ষিণ লনে এই চা-চক্রের আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী সব রাজনৈতিক দলকে চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণ জানান।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বামদল ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে গণভবনে হাজির হয়েছিলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের নেতারা। চা-চক্র রীতিমতো রাজনীতিবিদদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। বিকেল সোয়া ৪টায় অনুষ্ঠানস্থলে হাজির হন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় বিভিন্ন টেবিল ঘুরে ঘুরে সবার সঙ্গে কুশলাদি ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
চা-চক্রে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা আমির হোসেন আমু, মতিয়া চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, নূরুল ইসলাম নাহিদ, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামসহ আরও অনেকে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ, কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা, এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, জিয়াউদ্দিন বাবলু, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মুজিবুল হক চুন্নু, সুনীল শুভ রায়, জাতীয় পার্টির (মঞ্জু) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, জাসদ (ইনু) সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, জাসদ (আম্বিয়া) কার্যকরি সভাপতি মঈনুদ্দিন খান বাদল, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা।
এছাড়া ইসলামী ঐক্যজোটের সভাপতি মিসবাহুর রহমান চৌধুরী, তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি নজিবুল বশর মাইজভাÐারী, সাম্যবাদী দলের সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ডা. এ কিউ এম বদরুদোজ্জা চৌধুরী, মহাসচিব মেজর (অব.) এম এ মান্নান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি চৌধুরী এবং শমশের মুবিন চৌধুরী, বিএনএফ প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। এছাড়া আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা, ১৪ দলের নেতা, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে।
আবহমান বাংলার রূপে সাজানোর পাশাপাশি অনুষ্ঠানটি শুরু হয় দেশের গান দিয়ে। অতিথিদের ফুচকা, চটপটি, ভাপা পিঠা, চিতই, পুলি ও পাটিসাপটা পিঠা, জিলাপি, কাবাব-রুটি দিয়ে আপ্যায়ন করানো হয়। এছাড়া খাবারের তালিকায় ছিল বিভিন্ন মৌসুমী ফল, জুস, চা-কফিসহ বাঙালি ঐতিহ্যের নানা খাবার।