প্রকৃতি, মানুষ এবং দেশপ্রেমের দায়

713

আমার দীর্ঘ শিক্ষাজীবনে চুরি করে বইপড়ার অভ্যাস থেকে কখন যে সাহিত্য ও লেখালিখির জোক সেঁকে বসে নিজেও টের পাইনি। তবে এই সময়ে বই পড়ার আগ্রহ ও সাহিত্য-সংস্কৃতি প্রেমী মানুষের আমার প্রগাঢ় ভালোবোসা ও শ্রদ্ধাবোধ দিনদিন বেড়েই চলছে। যেখানে যার বই দেখি সেখানেই আমি হ্নদ্যতার হাত বাড়াই এবং লোভনীয় দৃষ্টিতে গিলি নিই তাদের মেধার বহিঃপ্রকাশ বই। খুব আপন মনে পড়ি আর ভাবি যদি আমি এমন লিখতে পারতাম? জানি না পারি কিনা তবে চর্চা আমার শতভাগ অব্যাহত থাকবে। কবি ও কবিতা লেখা এত সহজ বিষয় নয়। চর্চা ও সাধনা একসাথে করলেই হয়তো বা কখনো কখনো কলমের কালিতে বাক্য সাজানো যায় তবে কবি হওয়া যায় না। কবি হওয়ার সাধনার ফসল। আজকাল বিভিন্ন রকম নামের কবি ও অকবির দেখা যায়। তবে আমি একজন সম্ভাবনাময় কবি দেখেছি যিনি কয়েকটি বাক্য মিলে কবিতার প্রাণ সঞ্চার করেন, তিনি আমাদের সবার পরিচিত – “লাল সবুজের পুাকা পৃথিরীর পাসপোর্ট” গ্রন্থের লেখক কবি মোস্তফা হায়দার। কবি সৃজনশীলতা ও প্রেমময় এক আত্মার জৌলুসে ভরপুর মনের অধিকারী। জানি না সেটা কি কবির প্রেম নাকি সাহিত্যের প্রতি অনুরাগ? এ মানুষ এত সাবলীল ও সুন্দর কিভাবে লিখেন তার কবিতা বই “লাল সবুজের পতাকা পৃথিবীর পাসপোর্ট” পড়লেই বুঝা যায়। যেমন –
কাঁচামরিচের খোলস কবিতায় কবি লিখেন-
“ঘুম ভেঙ্গে চোখ কচলে দেখো একটি নতুন ভোরের
স্বপ্নের শোকেসে রাখো মায়াবতীর পরশ
ভেঙে দাও কলুষতার করিডোর;
সময়কে ধারণ করো কাঁচামরিচের খোলসে
পেয়ে যাবে এক সবুজ ইতিহাস।”
কবি এই কবিতাটিতে দেশের অস্হিরতা, রাজনীতি ও গণতন্ত্রের কথা বলেছেন। এখানে কবি সাদামাঠা একটি জীবন ধারণের আকুতি ব্যক্ত করেছেন। কিন্ত কবিতা অনেক সময় জীবনের রঙ বদলে দেয়। কবিতাটাতে কবি আরও বলেন –
নেত্রীদের নারীত্ব নিয়ে খেলা করে আদিমতা
বালুচরের মতো চোখে ভাসে মরীচিকা;
কবি যেন কোথাও খোঁজে পাচ্ছে না, বিশুদ্ধ মাটি ও বাতাসের সুখ। মানুষ মানবতা হারিয়ে ক্ষমতাকে পুঁজি করে সোহাগবতীর পাঁজরে নৃত্য করছে একদল হিংসুক ও পেটুক, যারা বাংলার শোকের ইতিহাসকে বজ্জাতির পোশাক পরায়।
কবি মোস্তফা হায়দারের কবিতা পাঠ করলে বুঝা যায়, একজন কিশোরী কিভাবে দূরন্তপনা এক যুবকের শার্টের বোতাম খোলা উষ্ণতা থেকে জাত বাঁচানোর ইচ্ছাকে অন্ধকারে ঝিঁঝিঁ পোকার পারফিউমের প্রলেপ মেখে- কবিতার সাম্পানে ভাসিয়ে দেয় বনশ্রীর সুখ। কবির ভাষায়- “ঝিঁঝিঁ পোকার আওয়াজের মত গিট খুলে গেল; বনলতার বনশ্রী সুখ খোঁজে পারিফউমের সদর দরজায়” (জেগে ওঠা চর)
কবির কবিতা পড়ে বিমুগ্ধ না হয়ে পারা যায় না। তাঁর ভাষাশৈলী, কাব্যের সরলতা ও গঠন আঙ্গিক সত্যি মুগ্ধকর। সবুজ ঘাসে যখন বৃষ্টির টিপটিপ ফোঁটা পড়ে তখন আষাঢ়ী হাওয়ায় মন ভেসে যায় নদীর উজানি স্রোতের মেলায়। প্রকৃতির এই অনিন্দ্য সুন্দরে মন খুঁজে বেড়ায় বর্ষার ঘনমেঘের ডাল, যেখানে একজোড়া কপোত-কপোতী-মাদকতা ছুঁয়ে গর্ভবতী হয় এবং হেসে ওঠে বাংলার সবজ বারতা। কবি বলেন-
সামনে হাসে তার মসৃণ আষাঢ়ী হাওয়া।
জলেভেজা ফুল আর প্রেয়সীর মাদকতা
ধোঁয়া উঠা স্রোতে ভাসে স্মৃতির খাতা
বর্ষার ঘাটে ভিড়ে কামুক হাসির সবুজ বারতা।
(কামুক হাসির সবুজ বারতা)
এই কবিতায় কবিকে ভীষম বিরহ কাতুর মনে হয়েছে। তবে কবিকে দেখে মনে হয় না তিনি কখনো প্রেমিক ছিলেন। নারী সর্বদা রহস্যময়ী। ওরা কখনো টানে অথবা বানেই লুকোচুরি খেলে। এসব প্রেমে কখনো প্রকৃত প্রেমের মহত্ত¡ উপলদ্ধি করা যায় না। আমাদের কবি কোন প্রেমে (টানে বা বানে) বিরহের ছাই দিয়ে সুরমা বানালো বুঝা মুশকিল। এই কবিতায় কবির আবেগ এই ভাবেই প্রকাশ করেন –
“বিরহের ছাই দিয়ে সুরমা বানিয়েছি
তোমাকে পেলে আইব্রæতে লাগিয়ে নয়ন ভরে দেখতাম
দুঠোঁটের সীমানা পেরিয়ে হিসেব মিলালে
তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে আনন্দে ভাসতাম প্রেমের জলে।”
(বিরহের ছাই দিয়ে সুরমা বানাই)
মানুষের অনুভ‚তি যেভাবে মনকে প্রশান্ত করে ঠিক তেমনি কবি মোস্তফা হায়দার শীতের উমের পরশে নিজেকে সাময়িক ভাবে হারিয়ে ফেলে বাহুকোষে এবং বিকেলে গড়িয়ে গেলে আশায় বুক পাতে রাতের বিছানায় সান্ধ্য সোহাগের। কবিতা –
সান্ধ্য সোহাগে লিখেন
“পাঁজর ভাঙ্গা রাতের মতো খসে পড়ে
তোমার শেষ বিকেলের গোধূলি মাখা সান্ধ্য সোহাগ।”
কবি মোস্তফা হায়দার একজন দেশপ্রেমে আসক্ত মানুষ। কবির কয়েকটি কবিতায় দেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন স্মৃতিকে অমর্যাদা করার প্রতিবাদ পরিলক্ষ করা যায়। তাঁর ভাষায় কলমের ডগায় প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠলো …
ঘুম ভেঙ্গে দেখি শকুনের ডানা ভেঙ্গে চুরমার
প্রেয়সীর বুক জিড়ে দেখি রক্তাক্ত কারুকাজ
নিউটনের বোমার কাছে
হিরোসিমা নাগাসাকির ক্ষতস্থান
আজো ইতিহাস কাঁদায়
কে নিবে এর দায়ভার?
(প্রেয়সীর বুক জুড়ে রক্তাক্ত কারুকাজ)
দেশের সম্মান, প্রকৃতি ও মানুষের সাথে দেশের ইতিহাস তুলে ধরেন। তাঁর কবিতায় দেশের ইতিহাস নিয়ে আমাকে ভাবতে শেখালো। যেমন তিনি লিখলেন…
“এই মৃত্তিকা শোধ নিতে জানে, গ্রহণ শেষে
ভালোবাসার বাগান খুলে
কখনো ইতিহাসের ধারক হয়ে,
কখনো ইতিহাস হয়ে;
বাংলার কোল ঘেঁষে – বাংলা দাঁড়িয়েছে
নিজস্ব ঢঙ্গে,আপন কারুকার্যে, বিশ্বাসের অস্তিত্বে।”
(ঘোলা জলের বিচ্ছুরণ শেষে)
কবির লেখনি শক্তি অসাধারণ। কবিতা জীবনের কথা বলে আবার জীবনঅন্তিমের কথাও বলে। কবিরা সব সময় জীবনের লীলানিয়েই ভাবতে ভালবাসেন। তাই কবি “ভোরের আলোয় বিতরণ” কবিতাটিতে জীবন পালাবদলের চিত্রকল্প তুলে ধরেছেন। যেমন :-
“উড়ন্ত বাতায়নে ওড়ে আসছে সোহাগীর উষ্ণতা
শনশন শব্দে ঘুম ভেঙ্গেছে মাঝির
দেখে, ভোরের আলোয় চিকচিক করছে খেয়াঘাটের তরী।”
মোস্তফা হায়দায় একজন আশাবাদী কবি। তার দৃষ্টি শক্তি ভীষণ গভীর এবং প্রকৃতিজ। সবকিছু থেকে মানব কল্যাণের উপকারকে গ্রহণ করে জীবন ধারণ করতে বিশ্বাসী। কবি ’মাঘ জলের স্নানে’ দুঃখ ভুলে সূর্যের আলোয় সুস্থ হতে চান প্রকৃতি দয়ায় সেখানে তিনি সিপ্রোসিনের মতো হাই এন্টিবায়োটিক কে প্রকৃতির কাছে তুচ্ছ মনে করেছেন। যেমন – কবি তাঁর মনোভাব এইভাবে প্রকাশ করেন…
“ভালবাসতে বাসতে দিন কেটে গেল
আলো আসলো রাতের বেদনা দেখাতে …
মনে রেখো, ডাহুকের ডাক আসবে
মিথ্যা হত্যা করে সত্য উম্মোচনের জোছনা নিয়ে
তখন লাগবে না সিপ্রোসিনের মতো হাই এন্টিবায়োটিক।”
(মাঘ জলের স্নানে)
আধুনিক ব্যস্ত জীবনে মানুষের বইপড়া বা ইতিহাস চর্চার অভ্যাস খুব থিতু হয়ে গেছে। সেক্ষেত্রে কবি মোস্তফা হায়দারের জানার আগ্রহমূলক প্রতিভা চমৎকার প্রখর এবং বিশ্বের বিভিন্ন অসাধারণ ব্যক্তিকে জানার সচেতন একজন মানুষ। তিনি তার কবিতায় এমনকিছু ব্যক্তির নাম তুলে ধরলেন যেখানে ঐ সব মহান ক্ষমতাধর ব্যক্তিগুলো আমাদের জীবনের অনুপ্রেরণাও বটে। কবি তার কবিতায় কিছু নাম ব্যবহার করে বুঝিয়ে দিলেন আগামী প্রজন্মের তাদের চর্চা করা কতোটুকু জরুরী? যেমন – নেলসন ম্যান্ডেলা ও মাহাথির মোহাম্মদ। এখানে নেলসন ম্যান্ডেলা একজন আফ্রিকার বর্ণবাদ বিরোধী নেতা, যিনি বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রম করে ২৭ বছর কারাভোগ করেন এবং মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের মতো ব্যক্তির উদাহরণ দিয়ে ও কবিতা হয়- তা কবি মোস্তফা হায়দারের কবিতায় প্রমাণ মিলে। যেমন- কবি লিখলেন
“নেলসন ম্যান্ডেলা অথবা মাহাথিররা জন্ম দিয়ে গেছে
শত শত জোনাকির প্রজ্বলিত বাহুবল
মরুভ‚মি অথবা পাহাড়ে আস্তানা গড়ার এক মানচিত্র।”
( জোনাকির প্রজ্বলিত বাহুবল)
কবি আরো বলেন -এভাবে আমাদের ইতিহাস দাঁড়াবে সময়ের হাত ধরে/হয়ত আমিও আমরা কেউ থাকেবো না/ থাকবে ঘটমান, চলমান ইতিহাসের মানদন্ড/ অথবা শতবর্ষী এক বৃদ্ধের সন্তান জন্মদানের সফল উল্লাস- (জোনাকির প্রজ্জ্বলিত বাহুবল) আসলেই ইতিহাস আপন গতিতে দাঁড়াবেই। হয়ত তুমি, আমি ও আমরা কেউ থাকবো না। ঘটে যাওয়া সময় পিছাবে, নতুনের আগমন ঘটবে জীবনের রঙ্গমঞ্চে। এমন সব আশাবাদের কবিতাগুলো পড়লে সত্যি মন শিউরে উঠে। শরীরের লোমগুলো স্পর্শকাতর হয়ে পড়ে।
আধুনিক জ্ঞানদর্শন ধারণ করা একজন কবি মোস্তফা হায়দার। তার কবিতায় যেমন প্রেম আছে, তেমনি আছে বাস্তবিক নির্দেশন। প্রকৃতি ও মানুষ যে এক সত্ত¡া মিলনের বহিঃপ্রকাশ তা বুঝা যায় তার কবিতায়। কী এক আসক্তির ডুবজলে ভেসে ভেসে কবিতা > ৪র্থ পৃষ্ঠায় দেখুন
> ৩য় পৃষ্ঠার পর
পাঠ যা পাঠককে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রাখে। এটা এক ধরনের কবির মেধার বুনিয়াদ। যেন বাক্যের পরতে পরতে টেউ খেলানো ছন্দ।
কবি তাঁর কাব্য গ্রন্থে বাংলা সাহিত্যের আধুনিক দৃষ্টিদানকারী, শব্দদেবতা ও কবিতা রচয়িতাদের ও খুব স্বসম্মানে তুলে ধরেছেন। যেমন – কবি রবীদ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, হেলাল হাফিজ, কাহলিল জিবরান। কবি কতটুকু সুতীক্ষè দৃষ্টির হলে এমন ভাবে লিখতে পারেন। কবুতরের ডানার উপর দাঁড়িয়ে সবুজ পতাকার অবস্থারন, আবার বিবর্তনবাদের করুণা চিৎকারে হাসে শ্বেতচিত্র এবং বাংলার মাঠে লোহিত রক্তকণিকা প্রান্তর ছাড়িয়ে অন্য প্রান্তরে মাথা গুঁজে। তাই মাছ, পাখি, নদী ও ধানশালিকের চিক্কুরে বেদনার নীলজলকে দ্রোহীরা চুষে খায় আপন গোঁয়ারে। কবি তার ভাষায় বলেন –
আজ মাছের সাথে কথা হলো হিসেবের
পাখির সাথে কথা হলো মিলনের
বাতাসের সাথে কথা হলো জলে ভাসার
নদীর সাথে কথা হলো ডাঙ্গায় আগমনের।
একই কবিতার শেষাংশে বলেন,
সিরাজির নগরখানি নজরুলের কবিতার হাফিজ
ইকবালের দর্শন, কাহলিল জিবরান এর উপনয়ন …
ধান শালিকের বাংলায় নীলদ্রোহীরা ঘর করে
পাঁজর ভেঙ্গে চুষে খাচ্ছে সবুজাভ।
(পাঁজর ভেঙ্গে চুষে খাচ্ছে সবুজাভ)
কবি মোস্তফা হায়দারের অধ্যবসায় ও বাংলা সাহিত্যের প্রতি আন্তরিকতা দেখে মুগ্ধ না হয়ে পারা যায় না। কবি তার কাব্যগ্রন্থে শ্রদ্ধেয় কবি সৈয়দ শামসুল হকের মৃত্যুকে স্বরণ করেও কবিতা লিখেছেন। যেমন –
“তোমার সোনার ফসলে আর ভরবে না
লাল সবুজের এই মৃত্তিকা,
আর ডাকা হবে না ‘হক দাঁড়াও’
আর বলবে না মরা ময়ূরের কিচ্ছা”।
(মরা ময়ূরের কিচ্ছা)
এমন আবেগঘন কবিতা যিনি লিখতে পারেন তিনি মানব ও জাতিকে ভালবাসতে পারেন। কোন ধরনের লুকোচুরি, ভনিতা ও ছলচাতুরীর আশ্রয় নেয়নি। এবং “মরা ময়ূরের কিচ্ছা” একটি মর্মস্পর্শী কবিতাও বটে।
কবিতার বিশ্বাস আর মানুষের ভালবাসা হচ্ছে কবির এবং কবিতার বেঁচে থাকা। কবি মোস্তফা হায়দার নাম কাব্যগ্রন্থের শিরোনাম কবিতায় একটি দেশ এবং একটি পতাকার ব্যাপকতা তুলে ধরতে চেয়েছেন। দেশহীন পতাকার যেমন দাম নেই তেমনি পতাকহীন দেশেও মূল্যহীন। আবার পতাকাসমেত দেশের ভবিষ্যতও আছে বটে। চলমান ঘটমান ঘটনাকে তুড়িমেরে কবি উড়িয়ে দিয়ে আশাবাদের চাষ করেছেন নিপূটু হাতে। কবিতার ভাষায়-
এই মৃত্তিকার সবুজ ঘাসে কবিতার জন্ম, কবির জন্ম
স্বাধীনতার স্বাধীনের জন্ম, দেশমাতৃকার জন্ম ।
লাল সবুজের পতাকা হাতে পৃথিবীর পাসপোর্ট নিয়ে দাঁড়ানো
এ জাতি সামনে যাওয়ার পথ শিখেছে, দিগন্তের নীলিমা ছোঁয়ার
স্বপ্ন দেখছে, সকল দূরভিসন্ধি নস্যাত হবে এ জাতির কলমের বজ্রহাতে।
(লাল সবুজের পতাকা পৃথিবীর পাসপোর্ট )
লেখা সাধারণত দু’ধরনের হয়। একটি তথ্যপ্রধান আরেকটি রসপ্রধান। কবি তাঁর লেখায় দুটো তথ্য দিযেছেন। কবি মোস্তফা হায়দারের লেখা কবিতায় পাঠককে বেশি আকর্ষণ করবে তা হলো সুন্দর, সাবলীল ও শব্দের গাঁথুনি। বয়সে তরুণ হলেও শব্দভাÐারে ভরপুর একজন কবি। ছন্দ ও শব্দের উপমায় চমৎকার বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন। কবি মোস্তফা হায়দার একজন ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষও বটে। গ্রন্থটি ‘দেশজ পাÐুলিপি পুরস্কার’ প্রাপ্তের তকমা বাচাইয়ের যথার্থতা মূল্যমানে আয়োজক নন্দিত নিশ্চিত। তাঁর আগামী লেখালিখি ও ব্যক্তিগত জীবন সুচারু হোক সেই প্রত্যাশা করছি।

কাব্যগ্রন্থ:লাল সবুজের পতাকা পৃথিবীর পাসপোর্ট
কবি : মোস্তফা হায়দার
প্রকাশক : দেশজ প্রকাশন
প্রচ্ছদ: মোমিন উদ্দীন খালেদ
দাম: ১৪০ টাকা
প্রকাশকাল: গ্রন্থমেলা২০১৮