পেকুয়ায় বালতি ও পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যু

42

কক্সবাজারের পেকুয়ায় পৃথক ঘটনায় পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, গতকাল রবিবার সকালে বালতির পানিতে পড়ে নবাব (দেড় বছর) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়। সে সদর ইউনিয়নের পূর্ব গোয়াঁখালী এলাকার সাংবাদিক শাখাওয়াত হোসেন সুজনের ছেলে। অন্যদিকে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় একই ইউনিয়নের বাইম্যাখালী এলাকায় পুকুরে ডুবে মেয়ে শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ফাহমিদা আক্তার (৫) নামের শিশুটির বাবা মৌলভী আলী হোসেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন সকালে দেলোয়ার মোহাম্মদ নবাব খেলার টানে বাড়ির পাশর্বর্তী টিউবওয়েলে যায়। সেখানে বালতি ভর্তি পানি নিয়ে খেলতে খেলতে এক পর্যায়ে বালতির পানিতে ডুবে যায়। তখনি বাঁচার আকুতি নিয়ে স্বজোরে কান্না করে শিশুটি। ছেলের চিৎকারে দৌড়ে এসে তাকে উদ্ধার করে মা। পরে মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে দ্রæত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। একই দিন সকাল ৯ টায় চিকিৎসক নবাবকে মৃত ঘোষণা করেন। শিশুটির বাবা দৈনিক ভোরের কাগজ ও দৈনিক রূপসীগ্রাম পত্রিকার পেকুয়া প্রতিনিধি এবং পেকুয়া উপজেলা প্রেস ক্লাবের সদস্য। শিশু নবাবের মৃত্যুতে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। আসরের নামাজের পর তার নামাজে জানাজা শেষে সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
সাংবাদিক পুত্র নবাবের অকাল মৃত্যুতে পেকুয়া রিপোর্টার্স ইউনিটের প্রধান উপদেষ্টা সাংবাদিক এস এম হানিফ, সভাপতি মোহাম্মদ ফারুক, সহ-সভাপতি জালাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসাইন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ হিজবুল্লাহসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং পেকুয়ায় কর্মরত সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ শোক প্রকাশ করেছেন।
অপর দিকে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় একই ইউনিয়নের বাইম্যাখালী এলাকায় পুকুরে ডুবে ফাহমিদা আক্তার (৫) মারা যায়। পরিবারের সবার অগোচরে পুকুর পাড়ে খেলতে গিয়ে পুকুরে পড়ে যায় শিশুটি। দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর ভাসমান অবস্থায় ফাহমিদার নিথর দেহ দেখতে পান তারা। স্বজনরা পুকুর থেকে তাকে দ্রæত উদ্ধার করে পেকুয়ার ডা. মুজিবের ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত ফাহমিদা ওই এলাকার মৌলভী আলী হোসেনের মেয়ে বলে জানা গেছে।