পেকুয়ায় চিংড়িঘের নিয়ে গোলাগুলি, নিহত ২

52

কক্সবাজারের পেকুয়ায় ওয়াকফ এস্টেট’র জমিতে চিংড়িঘের দখল নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে ২ জন নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও ৪ জন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৭টি অস্ত্র উদ্ধার ও ১১ জনকে আটক করেছে। এছাড়া একটি গাড়িও জব্দ করেছে বলে জানা গেছে।
গতকাল শনিবার পেকুয়া সদর ইউনিয়নের বিলহাচুরা লোয়াইপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, চকরিয়া ডেমুশিয়া জামে মসজিদের নামে ওয়াকফ এস্টেটের ৬৩ একর ৩৫ শতক জমি নিয়ে আরিফুল ইসলাম ও জালাল উদ্দিনের মধ্যে বিরোধ চলছিল। গতকাল সকালে আরিফুল ইসলামের লোকজন চিংড়ি ঘেরে কাজ করতে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন বাধা দেন। এ সময় উভয় পক্ষে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ওয়াকফ এস্টেটের মতোয়াল্লি মরহুম শওকত চৌধুরীর মৃত্যর পর তার স্ত্রী মতোয়াল্লি দাবিদার হালিমা বেগমসহ সব পক্ষকে নিয়ে সমস্যা সমাধানে পেকুয়া নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় ও পেকুয়া থানায় একাধিক বৈঠক হয়েছে। কিন্তু সমঝোতা না হওয়ায় গতকাল এ ঘটনা হয়। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। নিহতদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। নিহত নেজাম উদ্দিন (৪৫) পেকুয়া সদর বিলহাচুরা মৃত আবদুল মাবুদের পুত্র। তিনি আরিফুল ইসলামের পক্ষের লোক। এছাড়া নিহত আজিজুল হক (২৮) একই এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের পুত্র। তিনি জালাল উদ্দিনের পক্ষের লোক। আটককৃতদের মধ্যে আবদুল কাদের মো. নুর, মো. ইকবাল, মিজানুর রহমান, ওসমাণ গণি, মো. ইয়াহিয়া, মো. শাজাহান ও ছেনুয়ারা বেগম বুলুর নাম জানা গেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আরিফুল ইসলাম বলেন, আমার ভাই সাবেক ইউপি সদস্য মমতাজ উদ্দিনের ভোগদখলীয় চিংড়ি ঘের জবর দখল করতে সশস্ত্র হামলা চালায় জালাল উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী। বহিরাগত সন্ত্রাসীসহ অবৈধ অস্ত্র নিয়ে তারা আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে আমাদের চিংড়ি ঘেরের দুই প্রহরী নিহত হন। আহত হন আরও ৫-৭ জন।
অপর পক্ষের জালাল উদ্দিন বলেন, আমাদের দখলীয় চিংড়ি ঘের দখল করার জন্য আরিফ মেম্বারের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী ব্যাপক গুলিবর্ষণ করে ১ জনকে হত্যা করে। একই সাথে বাড়িঘর ভাঙচুর করে ৫ জনকে পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছে। আমি প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার তদন্ত দাবি করছি।
পেকুয়ার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান জানান, পুলিশ দ্রæত ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় সাতটি অস্ত্র উদ্ধার ও ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১১ জনকে আটক করা হয়। এছাড়া হামলায় জড়িত অন্যদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরও জানান, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এরপর ঘটনায় আর কারা জড়িত জানা যাবে।