পেঁয়াজের দাম না কমালে হার্ড লাইনে যাবো

25

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান বলেছেন, পেঁয়াজের মূল্য নিয়ন্ত্রণে নেই, ধানের মূল্য নেই, অথচ চালের মূল্য বেড়ে যাচ্ছে। বাজার অস্থিতিশীল করা ও সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য অসাধু কিছু আড়ৎদার পেঁয়াজ ও চালের মূল্য বৃদ্ধি করে রেখেছে। ম্যাজিস্ট্রেট অভিযানে গেলে দাম কমে, ম্যাজিস্ট্রেট চলে গেলে আবার বেড়ে যায়। দু’এক দিনের মধ্যে কার্গোতে করে দেশে পেঁয়াজ আসবে। নতুন পেঁয়াজও শীঘ্রই বাজারে আসবে। এসব পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে না আসলে আমরা হার্ড লাইনে যাবো। অভিযুক্ত আড়ৎদারদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অসাধু আড়ৎদারদের রক্ষা নেই। পেঁয়াজ ও চালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেলা প্রশাসকদের নেতৃত্বে সদরের পাইকারী ও খুচরা বাজারে এবং উপজেলাগুলোতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনে সাঁড়াশী অভিযান পরিচালনা করতে হবে।
গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম আঞ্চলিক টাস্কফোর্স, বিভাগীয় উন্নয়ন সমন্বয় কমিটি ও জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের সাথে পৃথক সমন্বয় সভা, জেলা প্রশাসকবৃন্দের সাথে সমন্বয় সভা, এসডিজি বাস্তবায়ন ও সমন্বয় সম্পর্কিত বিভাগীয় কমিটির সভা, কারাগারে আটক শিশু-কিশোরদের অবস্থার উন্নয়ন বিষয়ক সভা, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী সংক্রান্ত সভা ও বিভাগীয় রাজস্ব সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার অফিস পৃথক এই সভাগুলোর আয়োজন করে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত পৃথক এসব সভায় বিগত সভার সিদ্ধান্ত ও অগ্রগতি তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় কমিশনার অফিসের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইনামুল হাসান ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাবরিনা আফরিন মুস্তফা।
সভায় মাদকসহ চোরাচালান, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, ছিনতাই, ধর্ষণ, চুরি-ডাকাতি ও অন্যান্য অপরাধ রোধে সকল সংস্থার কার্যক্রম আরো জোরদার করা, মাদক পাচারকারী ও চোরাচালানীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা, সীমান্তবর্তী এলাকা ও অন্যান্য রুট দিয়ে ইয়াবার পাশাপাশি জ্বালানী তেল পাচার বন্ধে টাস্কফোর্সের অভিযান দিনে বা রাতে পরিচালনা করার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, বিজিবি ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে নির্দেশনা দেন বিভাগীয় কমিশনার। অবৈধ পন্থায় যাতে কোনো দেশের পণ্য দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে বা দেশীয় পণ্য বাইরে যেতে না পারে সে দিকে নজর রাখা, টাস্কফোর্সের অভিযান আরো বেগবান করতে বিজিবিকে সম্পৃক্ত করতেও পরামর্শ দেন তিনি।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পৃথক এই সভাগুলোতে বক্তব্য রাখেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহা, বিজিবি’র রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম সিকদার, বিভাগীয় স্থানীয় সরকার পরিচালক দীপক চক্রবর্তী, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. নুরুল আলম নিজামী, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী মো. সামসুদ্দোহা, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন (চট্টগ্রাম), আবুল ফজল মীর (কুমিল্লা), তন্ময় দাস (নোয়াখালী), একেএম মামুনুর রশীদ (রাঙামাটি), মো. মাজেদুর রহমান খান (চাঁদপুর), মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম (বান্দরবান), অঞ্জন চন্দ্র পাল (লক্ষীপুর), প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস (খাগড়াছড়ি), মো. ওয়াহিদুজ্জামান (ফেনী), হায়াত-উদ-দৌলা (ব্রাহ্মণবাড়ীয়া), বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপ-মহাপরিচালক মো. সামছুল আলম, ওয়াসার সচিব ড. পীযুষ দত্ত, ডিসি-ডিবি (বন্দর) এসএম মোস্তাইন হোসেন, র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. মশিউর, এনএসআই’র অতিরিক্ত পরিচালক মো. ইউসুফ আলী হাওলাদার, আনসার-ভিডিপি’র উপ-মহাপরিচালক মো. সামছুল আলম, ডিআইজি (প্রিজন) একেএম ফজলুল হক, বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পরিচালক মো. আবু সাইদ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. মুজিবুর রহমান পাটওয়ারী, চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, গণপূর্ত অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. মোসলেহ উদ্দিন, এলজিইডি’র অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এএনএম এনায়েত উল্লাহ, দোহাজারী সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ, সমাজকর্মী জেসমিন সুলতানা পারু, চট্টগ্রাম জেলা পিপি অ্যাড. একেএম সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, চোরাচালান নিরোধ ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাড. হরিপদ চক্রবর্তী ও মহানগর পিপি অ্যাড. ফখরুদ্দিন চৌধুরী, জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল ইসলাম প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি