পারমাণবিক চুক্তি রক্ষায় জাপানের সহায়তা চাইলেন রুহানি

20

বিগত ১৯ বছরের মধ্যে ইরানের প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে জাপান সফর করেছেন হাসান রুহানি। শুক্রবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। ওই বৈঠকে ২০১৫ সালে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের স্বাক্ষরিত চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা বের হয়ে যাওয়ার কঠোর নিন্দা করেন রুহানি।
এসময় চুক্তিটি রক্ষায় জাপানের সহায়তা প্রত্যাশা করেন তিনি। ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, রাশিয়া, জার্মানি ও ফ্রান্সের কাছে ইউরোনেয়িাম প্রকল্প সীমিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করে ইরান। চুক্তিটির মেয়াদ ২০২৫ সাল পর্যন্ত হলেও গত বছর এই চুক্তিকে ‘ক্ষয়িষ্ণু ও পচনশীল’ আখ্যা দিয়ে বের হয়ে যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০১৮ সালের নভেম্বরে তেহরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল শুরু হয়। পরে বেশ কয়েক ধাপে শর্ত মানা শিথিল করে চুক্তিতে থাকা বাকি দেশগুলোর ওপর চাপ জোরালো করার চেষ্টা করেছে তেহরান।
শুক্রবার জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ইরানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরমাণু চুক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি। সেকারণে আমি যুক্তরাষ্ট্রের অযৌক্তিক ও একতরফা প্রত্যাহারের কঠোর নিন্দা করি। তিনি বলেন, ‘আশা করি জাপান ও বিশ্বের অন্য দেশগুলো এই চুক্তি রক্ষায় পদক্ষেপ নেবে’। বৈঠকে চুক্তিটির প্রতি সম্মান দেখাতে হাসান রুহানির প্রতি আহ্বান জানান জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে। নিজেদের জ্বালানি তেলের ৮০ শতাংশের যোগান দেওয়া মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। তিনি বলেন, আমি জোরালোভাবে আশা করি ইরান পারমাণবিক চুক্তি পূর্ণ মেনে চলবে আর ওই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে গঠনমূলক ভূমিকা রাখবে। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র জাপান ইরানের সঙ্গে নিবিড় অর্থনৈতিক যোগাযোগ বজায় রাখে। ওয়াশিংটন-তেহরান উত্তেজনার মধ্যে দুই দেশের মধ্যে সেতু বন্ধনের চেষ্টা করছে টোকিও।