পটিয়াকে আধুনিক শহরে পরিণত করতে হবে : সামশুল হক এমপি

45

পটিয়া পৌরসভার অর্থায়নে প্রায় ৮ কোটি টাকার কয়েকটি প্রকল্প কাজ গত ১৬ ফেব্রæয়ারি উদ্বোধনকালে সংসদ সদস্য হুইপ সামশুল হক চৌধুরী বলেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতোই শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সম্পদ। ফ্রান্সের সম্পদ আইফেল টাওয়ার, ভারতের সম্পদ তাজ মহল। আর বাংদেশের সম্পদ জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার হাত ধরে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের মাঝে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। পটিয়াকে ভালবেসে তিনি বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্প দিয়েছেন জানিয়ে হুইপ বলেন, পটিয়ার উন্নয়নের অন্তরায় ব্যক্তিসহ সবকিছুকে অপসারণ করতে হবে। পটিয়াকে আধুনিক শহরে পরিণত করতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। যারা প্রকল্পে বিভিন্নভাবে বাঁধা দিচ্ছেন তাদের মোকাবেল করে উন্নয়ন প্রকল্পগুলো চালু রাখতে হবে। গত শনিবার কয়েকটি প্রকল্প উদ্বোধন শেষে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। উল্লেখ্য, এ প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরকান মহা সড়কের পটিয়া পৌর সদরের এসিল্যান্ড অফিসের শুরু থেকে ইন্দ্রপুল পর্যন্ত ড্রেন নির্মাণ, ফুটপাত এবং স্ট্রিট লাইট স্থাপন করা হবে। এছাড়া আমিরুল আউলিয়া হযরত আমিরুজ্জমান শাহ’র নামে থানার মোড়ে এবং এস আলম মাসুদের নামে উপজেলা পরিষদ সম্মুখে একটি করে তোরণ নির্মাণ করা হবে। পটিয়া পৌরসভার মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশিদ জানিয়েছেন, পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে বর্তমান সরকারের সময় বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ হয়েছে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রায় ৮ কোটি টাকার প্রকল্প কাজ উদ্বোধন করা হবে। ড্রেন নির্মাণ কাজ শেষ হলে পৌর সদরে বর্ষা মওসুমে জলাবদ্ধতা আর থাকবে না। ড্রেনটির উপর ফুটপাত এবং স্ট্রিট লাইট স্থাপনের কারণে আধুনিকতার ছোয়া লাগবে। প্রকল্প উদ্বোধনী সভা পটিয়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুনুর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এমপি। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম সামশুজ্জমান চৌধুরী, আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক সামশুদ্দিন আহমদ, আলমগীর আলম, আইয়ুব বাবুল, জেলা পরিষদ সদস্য দেবব্রত দাশ দেবু, দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সভাপতি আ ম ম টিপু সুলতার চৌধুরী, পৌরসভার কাউন্সিলর মোহাম্মদ আবু সৈয়দ, গোফরান রানা, রুপক সেন, আজিমুল হক, শহিদুল আলম প্রমুখ। সভায় প্রধান অতিথি সড়ক বিভাগের নির্মিতব্য ভবন ও বাউন্ডারি প্রসঙ্গে বলেন, সড়ক বিভাগ চাইলে ভবনটি আরো পেছন দিকে নিয়ে তৈরি করতে পারতো। এর ফলে সড়কের প্রসস্ততা আরো বাড়তো। তারা না করে কেন কি কারণে সড়কের কাছাকাছি নিজেরাই ভবন তৈরি করেছে আবার রাস্তা ঘেঁষে বাউন্ডারী দেয়ার চেষ্টা করেছে। তিনি কোনভাবেই রাস্তার পাশে সড়ক বিভাগের বাউন্ডারী দেয়া যাবে না এবং উপজেলা পরিষদের সম্মুখে সড়ক বিভাগের পরিত্যাক্ত দুটি গোডাউন ভেঙে দেয়ার জন্য পটিয়া পৌরসভাকে নির্দেশ দেন