নৈতিক শিক্ষাই রোধ করতে পারে ধর্ষণ ও বলাৎকার

63

রূপম চক্রবর্ত্তী

ধর্ষণ এবং ছাত্র বলাৎকার বর্তমান সভ্য সমাজ ব্যবস্থার এক কালো অধ্যায়। শিশু এবং নারীর প্রতি সহিংস আচরণ সুস্থ এবং বিবেকমান মানুষের মনকে সংকুচিত করে এবং ক্ষেত্র বিশেষে তাদের মনকে এত বেশি নাড়া দেয় যে, শেষ পর্যন্ত তারা রাস্তায় নেমে পড়েন। মাঝে মাঝে খবরের কাগজে পাই কোনো কোনো বিশেষায়িত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রাবাসে লম্পট শিক্ষক দ্বারা ছোট ছোট ছাত্ররা বলাৎকারের সম্মুখীন হচ্ছে। যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রকে মানবতার শিক্ষা দেবে, ভালো আচার-আচরণ শিখাবে সেখানে যদি ছাত্ররা ভালো কিছু না শিখে মন্দ কিছু শিখে তাহলে তার দায়বার সবাইকে একদিন ভোগ করতে হবে। আমি চাই যে, কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের নৈতিক শিক্ষা দিয়ে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য তাদের শিক্ষক-শিক্ষিকা চেষ্টা করবেন। একজন ছাত্র বা ছাত্রীকে আগামী প্রজন্মের জন্য উপহার হিসেবে প্রদান করার জন্য তার পরিবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একটি পরিবারে মা বাবাকে তার সন্তানকে এমনভাবে শিক্ষা দেবেন যেন সে বড় হয়ে ধর্ষণের মত অপরাধ না করে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে জুনিয়রদের নিপীড়ন না করে।
ছোট থেকে শিশুদের ভিত্তি মজবুত করতে না পারলে বড় হলে সে নড়বড়ে হয়ে উঠবে। মানুষকে শ্রদ্ধা করা, আরেকজনের ভালো মতামতকে গ্রহণ করার মানসিকতা সৃষ্টি করার শিক্ষা পরিবার থেকেই দিতে হবে। সব কিছুর পরিবর্তন হয়তো একদিনে সম্ভব নয়। ধারাবাহিক প্রচেষ্টার ফলে পরিবর্তন সম্ভব বলে আমি মনে করি। ছোট বেলা থেকে আমাদের প্রকৃত ধর্ম শিক্ষার প্রয়োজন।
কারণ ধর্মীয় বিধিনিষেধ একজন সন্তানকে সমাজে আদর্শ সন্তান হিসেবে গড়ে তোলে। ধর্ম শিক্ষার পাশাপাশি আমাদের সন্তানদের মানবতার শিক্ষা দেব। শ্রদ্ধাশীল হওয়ার জন্য শিক্ষা দেব। নতুন সৃষ্টির আনন্দে আমাদের ছেলেমেয়েরা যাতে প্রেরণা লাভ করে সেদিকে খেয়াল রাখব।

ডেপুটি ম্যানেজার -অডিট
ডায়মন্ড সিমেন্ট লিমিটেড, চট্টগ্রাম