নির্বাচনে আসছে না আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দল

62

বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পর্যবেক্ষণে আসার কথা থাকলেও ভিসা জটিলতায় সেই সফর বাতিল করেছে আন্তর্জাতিক পর্যবক্ষেক সংস্থা। শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের আগে সময়মতো ভিসা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় পর্যবেক্ষক দল তাদের সফর বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে।
ভিসা জটিলতা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে নির্বাচনে সবদলের শান্তিপূর্ণ অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ ও সরকারের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রতিশ্রæতি সমুন্নিত রাখার আহŸান জানায় মার্কিন প্রশাসন। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে পরিচালিত এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস এর আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা সময়মতো ভিসা পাননি। বিশ্বাসযোগ্য আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ মিশনের জন্য তাই তাদের যাওয়া সম্ভব না।
দফতরের উপ-মুখপাত্র রবার্ট পালাদিনো বলেন, ফলে পর্যবেক্ষকরা মিশন বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ না থাকায় এখন বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব আরও বেড়ে গেলো। স্থানীয় এনজিও যারা নির্বাচন নিয়ে কাজ করে, বিশেষ করে ইউএসআইডির অর্থায়নে পরিচালিত কিছু সংস্থাও রয়েছে তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব উন্নতি করেছে। রপ্তানি বেড়েছে, গার্মেন্টস সেক্টর এগিয়েছে। তবে সংবাদমাধ্যমে স্বাধীনতা কমানোর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। পালাদিনো বলেন, আমরা রাজনৈতিক বিভাজন, সহিংসতা, অস্থিরতা চাই না। আমরা গণতান্ত্রিক পরিবেশ সুষ্ঠু ও স্বাধীন নির্বাচন চাই।
আমরা সবপক্ষকে ঐকমত্যে আসার আহবান জানাই।
ডিসেম্বরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা দিয়েছিল, তারা নির্বাচনে নিজেদের পর্যবেক্ষক পাঠাবে এবং স্থানীয় পর্যবেক্ষদের সহায়তা করবে। যাতে করে ৩০ ডিসেম্বর সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে যৌথভাবে ১৫০০ স্থানীয় পর্যবেক্ষককে অর্থায়নও করছে দেশটি।
বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর জানায়, শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশের সুযোগ থাকতে হবে। সংবাদমাধ্যমকে স্বাধীনতা দিতে হবে। প্রার্থীরা যেনো সব তথ্য পায় এবং হয়রানি ও সহিংসতা ছাড়াই সবাই যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।