নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কবিতা মমতার

41

ভারতজুড়ে এখনও চলছে দেশটির বিতর্কিত নাগরিকপঞ্জি ও নাগরিকত্ব আইনবিরোধী বিক্ষোভ। শুক্রবার আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু ছিল দিল্লির জামে মসজিদ প্রাঙ্গন। নামাজ শেষে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি বিক্ষোভে অংশ নেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি বেঁচে থাকতে পশ্চিমবঙ্গে বিতর্কিত ও বৈষম্যমূলক এ নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করতে দেবেন না।
মোদি সরকারের এ আইনের প্রতিবাদে লিখেছিলেন ‘নাগরিক’ শিরোনামের কবিতা। শুক্রবার মমতা লিখলেন ‘অধিকার’। ফেসবুকে পোস্ট করা ওই কবিতাজুড়ে ঘৃণা আর বিদ্বেষের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ। সম্প্রতি কলকাতায় এক সমাবেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি যতদিন বেঁচে আছি ততদিন বাংলায় নাগরিকত্ব আইন বা নাগরিকপঞ্জি বাস্তবায়ন করতে দেবো না। ধর্মের ভিত্তিতে দেশকে বিভক্ত করতে দেবো না। আসামে বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে। সেখানে শরণার্থী শিবির তৈরি করা হয়েছে।
বাংলায় আমরা কখনই তা করতে দেবো না।’ গত শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে মমতা বলেন, ‘আমরা হিন্দু-মুসলিম-শিখ-খ্রিস্টান সবাই একসঙ্গে থাকবো, ভালোভাবে থাকবো। শান্তিতে থাকবো। কাউকে বাংলা ছাড়তে হবে না, কাউকে দেশ ছাড়তে দেবো না। আমাদের আন্দোলন চলছে, চলবে। মানুষের আন্দোলনের জয় হবে।’
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা ভয় পাবেন না, চিন্তা করবেন না। একদম ঠিকঠাক থাকবেন, সুস্থ থাকবেন সুন্দর থাকবেন। আপনাদের চিন্তাটা আমার মাথায় দিয়ে দিন। আপনাদের চিন্তাটা আমি দেখে নেবো। অত ভাবার কোনও কারণ নেই। শান্তিতে পড়াশোনা করুন, কাজকর্ম করুন, সংসার চালান। বাদবাকিটা আমার ওপর ছেড়ে দিন।’
দিল্লির মোদি সরকারকে কটাক্ষ করে মমতা বলেন, “আমরা ‘দিল্লি কা লাড্ডু’র কথায় বাংলায় পথ চলি না। আমরা সবাইকে নিয়ে চলি। একসাথে চলি, একসাথে চলব। হুঁশিয়ারি দিচ্ছে আমার ছাত্র-ছাত্রী বন্ধুদের! ১৮ বছরে সে ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত করবে আর আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না, কী অবস্থা! প্রতিদিন ছাত্রদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে! অনেক জায়গা থেকে শিক্ষার্থীদের তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে! তারা গণতান্ত্রিক অধিকার আন্দোলনের সঙ্গে আছে বলে তাদের নিষ্পেষণ করা হচ্ছে! এসব চলবে না।’