ধর্মের নগরীতে মোদী জোয়ার

40

ভারতের হিন্দুদের পবিত্র নগরী হিসেবে পরিচিত বারাণসীতে ভোটারদের মাঝে নরেন্দ্র মোদীরই গুণগান। ভারতের সাত পর্বের লোকসভা নির্বাচনের শেষ ধাপে ভোট হবে উত্তর প্রদেশের এই তীর্থ নগরীতে। এখানে বিজেপি নেতা মোদীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন কংগ্রেসের অজয় রাই এবং বহুজন সমাজ পার্টি (বসপা), সমাজবাদী পার্টি (সপা) ও রাষ্ট্রীয় লোকদলের (আরএলডি) সমন্বয়ে গঠিত জোটের প্রার্থী শালিনী যাদব। ভোটের চার দিন আগে শহরের অলি-গলি ঘুরে মন্দির-উপাসনালয়ের পুরোহিত, ক্ষুদ্র দোকানদারসহ নানা পেশার লোকজনের মুখে নরেন্দ্র মোদীর সম্ভাবনার কথাই উঠে এসেছে। তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ভিন্ন মনোভাবও রয়েছে, তাদের বেশিরভাগই খেটে খাওয়া মানুষ।
উগ্র হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল আরএসএস-এর এক সময়ের সদস্য মোদী পাঁচ বছর আগে দিল্লির সিংহাসনে বসার পর পাল্টে গেছে বারাণসীর চিত্র।

শহরের রাস্তা-ঘাট এখন অনেক প্রশ্বস্ত, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নও। মন্দির ও তার আশপাশের অলি-গলির সরু রাস্তাগুলোও পাকা করা হয়েছে। কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের আশপাশের সরু গলিগুলোকে মণিকার্নিকা, ললিতা ও জনসেন ঘাট পর্যন্ত ৫০ থেকে ৭০ মিটার প্রশস্ত করা হয়েছে। বিমানবন্দর ও রেল স্টেশনও আধুনিকায়ন করা হয়েছে। তৈরি হয়েছে বেশ কয়েকটি বড় হোটেল-রেস্টুরেন্ট। বারাণসীতে বিদ্যুতের আলোর ঝলকানিতে হারিয়ে গেছে রাতের অন্ধকার।
এই উন্নয়নই ভোটে মোদীকে এগিয়ে রাখছে বলে মনে করেন বিশ্বনাথ গলির দোকানি শঙ্কর দাশ গুপ্ত। তিনি বলেন, “আপনি যদি পাঁচ বছর আগে এসে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই বুঝতে খটকা লাগছে এই জায়গাটি ওই সময় কেমন ছিল। ঘুরে ঘুরে দেখবেন প্রায় অনেক কিছুই পাল্টে গেছে। এসব কর্মযজ্ঞের নায়ক বলুন আর প্রশাসক বলুন- তিনি হচ্ছেন মোদীজী। আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
“তিনি বারাণসীর ‘পুত্র’। গতবার জিতে তিনি বিশ্বনাথে পুজো করেছেন, আরতি করেছেন। এরপর আরও অনেকবার কমপক্ষে ১০-১১ বার হবে এখানে এসেছেন। ঘন ঘন দিল্লি থেকে তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও অফিসারদের পাঠিয়েছেন উন্নয়ন কর্মকান্ড তদারকি করতে। নতুন বারাণসীর নির্মাতাকে এখনকার মানুষ শ্রদ্ধা করে।” বারাণসীর স্থানীয় বাসিন্দা নিতাই গৌরের কাছে ভোটের মাঠে মোদীর অবস্থা কেমন জানতে চাইলে তিনিও উচ্ছ¡াসের সঙ্গে মোদী বন্দনা করেন।