দেশব্যাপী নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি হয়েছে : সিইসি

43

সারাদেশে ভোটের পরিবেশ তৈরি হওয়ায় একাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন প্রশিক্ষণ ভবনে ইলেকশান ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ইএমএস), ক্যান্ডিডেট ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিআইএমএস) এবং রেজাল্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আরএমএস) সফটওয়্যারের ওপর প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দিচ্ছিলেন।
নূরুল হুদা বলেন, দেশব্যাপী নির্বাচনী পরিবেশ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এর মাধ্যমে একটা নতুন সরকার গঠন হবে। আমরা অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে বলতে পারি যে, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সারা দেশ থেকে মাঠকর্মীরা কয়েকটি ব্যাচে ভাগ হয়ে গত কয়েকদিন ধরে এসব সফটওয়্যারের ওপর প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সকালে আরও কয়েকটি ব্যাচের প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করা হয়।
সারাদেশে নির্বাচনের সুবাতাস বইছে বলে উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে সিইসি বলেন, সমগ্র দেশে নির্বাচনের সুবাতাস, আবহ, একটি অনুকূল আবহ সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ত নির্বাচনমুখী আচরণ লক্ষ্য করা গেছে। নির্বাচনের সাথে সম্পৃক্ত প্রার্থীদের মধ্যে উৎসাহ দেখা যাচ্ছে এবং তাদের কর্মকান্ডের মধ্যে তা প্রতিফলিত হচ্ছে। তারা অনবরত সভা-মিছিল করে যাচ্ছেন এবং প্রার্থীরা তাদের ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছেন। খবর বিডিনিউজের
নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের আস্থা বেড়েছে বলে জানান তিনি।
আমাদের আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে যে সকল নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তারা সক্ষমতার সাথে, স্বার্থকতার সাথে নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে অবশ্যই সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। আমরা প্রশিক্ষণের এমন কোনো স্তর বাদ রাখিনি যে কারণে মাঠপর্যায়ে গিয়ে নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে তাদের কোনো ঘাটতি থাকে।
সারাদেশে ১২২টি ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটি গঠন করা হয়েছে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, তারা সারাদেশে নির্বাচনে কোনো অনিয়ম হলে, আচরণবিধি ভঙ্গ হলে অথবা নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো আইনের বিচ্যুতি, কর্মকান্ড ঘটলে সেগুলো সংশোধন করবেন। তারা অনুসন্ধান করবেন এবং ব্যবস্থা নেবেন।
জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা থাকবেন চারদিন। তারা মূলত প্রার্থী এবং সমর্থকদের সাহায্য করবেন যে, কোনটা আচরণবিধি ভঙ্গের কারণ সেগুলো শুধরে দেবেন। যদি সেগুলো না শোনেন তাহলে বিচার করার তাদের সুযোগ থাকবে। অপরাধ আমলে নেওয়ার ক্ষমতা আছে তাদের হাতে। এরপর এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে।
নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ না দিয়ে মাঠপর্যায়ে অভিযোগ জমা দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, অভিযোগগুলো নির্বাচন কমিশনের কাছে চলে আসে। এই অভিযোগগুলো আমাদের কাছে না এসে তাৎক্ষণিকভাবে রিটার্নিং অফিসার এবং ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটির কাছে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান পাওয়া যাবে।
অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ দায়িত্বশীলতার সাথে ভোটের ফল গণনা করা এবং পরিসংখ্যানগত ভুল যাতে না হয় সেদিকে সতর্ক থাকে কর্মকর্তাদের অনুরোধ জানান।
একটু ভুলের কারণে এলাকায় লঙ্কাকান্ড ঘটে যেতে পারে। দ্রুতগতিতে ফলাফল পাঠাতে গিয়ে অস্থিরতায় ভুগবেন না। সুন্দরভাবে চেক করে ফলাফল পাঠাবেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ইটিআইয়ের মহাপরিচালক মোস্তফা ফারুক।