দুবাইয়ে অপূর্ব প্রজাপতির বাগান

70

বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ পর্যটন শিল্পনগরী আরব আমিরাতের দুবাইয়ে বিনোদনপ্রেমীদের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে বিরল প্রজাপতির বাগান। এ বাগানে রয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দুর্লভ প্রজাতির অসংখ্য প্রজাপতি। বাগানটিকে শ্রেণীবিন্যাসে সাজানো হয়েছে অপরূপ সাজে। এমনকি পর্যটক আকর্ষণে আমিরাতের শাসক থেকে শুরু করে অনেকের ছবি সাজানো হয়েছে প্রজাপতি দিয়ে।
বাগানে প্রবেশ করতেই চোখ জুড়িয়ে যাবে সবার। প্রজাপতির ওড়াওড়ি দেখে মনেই হবে না এগুলো কৃত্রিমভাবে সাজানো কোন প্রজাপতি। চোখ জুড়ানো এমন অপূর্ব দৃশ্য আর অনাবিল শান্তির স্পর্শ পেতে প্রতিদিন আমিরাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা অসংখ্য দর্শনার্থীর ভিড় জমে যায় প্রজাপতির বাগানে। সপ্তাহের শুক্রবার ছুটির দিনে দর্শনার্থীদের সংখ্যা বেড়ে যায় বহুগুণ। মরুর বুকে এমন চমৎকার আয়োজনে মুগ্ধ দর্শনার্থীরাও। প্রজাপতি বাগানের কর্তৃপক্ষ জানান, প্রথমে শখের বশে এ বাগান করা হলেও এখন বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে। তারা জানান, দেশটির অন্যান্য প্রাদেশিক এলাকায়ও এমন বাগান তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে। দুবাই ল্যান্ডে অবস্থিত এ প্রজাপতির বাগান সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে। প্রজাপতির বাগানে সপরিবারে ঘুরতে আসা আরব আমিরাত প্রবাসী বাংলাদেশি কবি, লেখক ও সাংবাদিক ওবাইদুল হক বলেন, এখানে না আসলে বুঝা যাবে না এ বাগানের অপরূপ সৌন্দর্য, অনুভূতি আর অনাবিল শান্তি সম্পর্কে।
এ বাগানে কর্মরত বাংলাদেশিরা জানান, এটি প্রজাপতির বাগান নয় যেন ‘স্বর্গবাস’। এখানে কাজ করতে পেরে নিজেদের ধন্য মনে করছেন তারা। তাদের মতে, বাংলাদেশে অসংখ্য প্রজাপতি দেখা গেলেও তা সীমিত এবং যতœ নেয়া হয় না। তাছাড়া বনাঞ্চল উজাড় করে এসব জীবের বাসস্থান বিলুপ্ত করা হচ্ছে। বাংলাদেশে যদি এরকম ব্যতিক্রমী প্রজাপতির বাগান করা যায় তবে বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি এ বাগান দেখে দর্শনার্থীদের মনে বিলুপ্ত প্রজাপতিসহ অন্যান্য প্রাণী সংরক্ষণে সচেতনতা সৃষ্টি হবে। মানুষের মনে সৃষ্টি হবে প্রকৃতির প্রতি অগাধ ভালোবাসাও।