তির্যক নাট্যমেলার চতুর্থ দিনে লেকচার ওয়ার্কশপ

44

থিয়েটারের এমন এক অসীম শক্তি আছে, যা জীবনের রঙ বদলাতে পারে। জীবনকে নতুনভাবে বাঁচাতে শেখায়। থিয়েটারের সাথে জলের একটা সখ্যতা আছে। যা আমাকে গভীরভাবে আদিষ্ট করে। জলের যেমন অবিনাশী শক্তি আছে প্রাণকে বাঁচানোর, তেমনি থিয়েটারের শক্তির কাছে আমাদের বারে বারে আশ্রয় নিতে হয়। এজন্য আমার লেখায়, নাটকে বারে বারে অনুষঙ্গ হয়ে আসে জল। কথাগুলো বলছিলেন বিশিষ্ট নাট্যকার ও গবেষক কৌশিক চট্টোপাধ্যায়। তিনি গতকাল সকাল দশটায় থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রামে তির্যক নাট্যদল আয়োজিত তির্যক নাট্যমেলার চতুর্থ দিনে লেকচার থিয়েটারে ‘থিয়েটারের আশ্রয়’ শীর্ষক লেকচার ওয়ার্কশপে বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান কর্পোরেট সংস্কৃতির বিশ্বে পারিবারিক বন্ধন ছিন্ন হতে হতে আর কিছু বাকী নাই। এই কর্পোরেট কালচারের সাথে তাল মেলাতে গিয়ে প্রথমেই কোমলমতি শিশুদের কল্পনার জানালায় বাঁধ সাধে পরিবার এবং স্কুল। থিয়েটার আমাদের উপলব্ধির জায়গাটা প্রসারিত করে এবং সহজাত সত্য প্রকাশকে সহজ করে দেয়। বাহ্যিক আমিত্বকে ছুঁড়ে ফেলে অন্তরের আমিত্বের সন্ধান দেয়। পাঁচদিনব্যাপী তির্যক নাট্যমেলায় চতুর্থ দিনে লেকচার ওয়ার্কশপ ছাড়া বিকাল চারটায় উচ্চাঙ্গ যন্ত্রসঙ্গীত পরিবেশন করে ওস্তাদ আজিজুল ইসলাম এবং শামীম জহির। বিকাল পাঁচটায় মুক্তমঞ্চে রাশেদ হাসানের নির্দেশনায় বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশন করে প্রমা আবৃত্তি সংগঠন। পরপরই শুভ্রা সেনগুপ্তার পরিচালনায় নৃত্য পরিবেশন করে স্কুল অব ওরিয়েন্টাল ডান্স। পরে সন্ধ্যে সাতটায় থিয়েটার ফ্যাক্টরি (ঢাকা) পরিবেশন করে মোহন রাকেশ রচিত অংশুমান ভৌমিক অনুবাদিত এবং অলোক বসু নির্দেশিত ‘আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে’। বিট্রেক টেকনোলজিস এর সহযোগিতায় গত ২৫ ডিসেম্বর থেকে তির্যক নাট্যদলের আয়োজনে পাঁচদিনব্যাপী এই নাট্যমেলা শুরু হয় এবং আগামী ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত মেলা চলবে। বিজ্ঞপ্তি