‘তাইওয়ানের বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি ব্যবহার বন্ধ করবে না চীন’

59

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, কেউই এই সত্য বদলাতে পারবে না যে তাইওয়ান ‘চীনের অংশ’। স্বশাসিত দ্বীপটির সঙ্গে পুনরেকত্রীকরণ নিশ্চিত করতে বেইজিং সামরিক শক্তি ব্যবহার বন্ধ করবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। বুধবার বেইজিংয়ে এক ভাষণে এসব কথা বলেন চীনের প্রেসিডেন্ট। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলেছে, তাইওয়ানের মানুষকে উদ্দেশ্য করে এটাই শি জিনপিংয়ের প্রথম কড়া হুঁশিয়ারি।
চীন-তাইওয়ান বিরোধের সূত্রপাত ১৯২৭ সালে। ওই সময়ে চীনজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে গৃহযুদ্ধ। ১৯৪৯ সালে মাও জে দংয়ের নেতৃত্বাধীন কমিউনিস্ট বিপ্লবীরা জাতীয়তাবাদী সরকারকে উৎখাতের মধ্য দিয়ে এ গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটায়। জাতীয়তাবাদী নেতারা পালিয়ে তাইওয়ান যান। এখনও তারাই তাইওয়ান নিয়ন্ত্রণ করে। প্রাথমিকভাবে ওই সময় যুদ্ধ বন্ধ হয়ে পড়লেও উভয় দেশই নিজেদের চীনের দাবিদার হিসেবে উত্থাপন শুরু করে। তাইওয়ানভিত্তিক সরকার দাবি করে, চীন কমিউনিস্ট বিপ্লবীদের দ্বারা অবৈধভাবে দখল হয়েছে। বুধবার চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, যারা ‘দুই চীন’ বা ‘এক চীন-এক তাইওয়ান’ অথবা তাইওয়ানের স্বাধীনতার ষড়যন্ত্রের পেছনে রয়েছে আমরা তাদের কঠোর বিরোধী।
বেইজিংয়ে তিনি বলেন, যেকোনও স্বাধীনতাপন্থী বা বিচ্ছিন্নতাবাদী অ্যাকটিভিস্টদের পরাজিত করায় আমরা বিপুল বিজয় অর্জন করেছি। কোনও ব্যক্তি ও দল এই ঐতিহাসিক ও বৈধ সত্যকে পরিবর্তন করতে পারবে না যে তাইওয়ান এবং এই উপত্যকার দুই পাশই চীনের অংশ। শি জিনপিং বলেন, শান্তিপূর্ণ পুনরেকত্রীকরণ ও তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী অ্যাকটিভিস্টদের মধ্যে যেসব বাইরের শক্তি হস্তক্ষেপ করবে চীন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজনীয় ক্ষমতা সংরক্ষণ করে।
১৯৭৯ সালে তাইওয়ানের কাছে পাঠানো এক বার্তার ৪০তম বার্ষিকী উদযাপনের সময়ে এসব কথা বলেন শি জিনপিং। কয়েক দশকের সামরিক শক্তি প্রয়োগ বন্ধের পর প্রথমবার পাঠানো ওই বার্তায় পুনরেকিত্রীকরণের ডাক দেয় বেইজিং। ১৯৭৯ সালের জানুয়ারিতে তাইওয়ান নিয়ন্ত্রিত উপকূলে সামরিক শক্তি প্রয়োগ বন্ধ করে অঞ্চলটির সঙ্গে যোগাযোগ শুরুর আহবান জানায়। তবে দুই অঞ্চলের মধ্যকার মানুষের মধ্যে গভীর বাণিজ্যিক, সাংস্কৃতিক ও ব্যক্তিগত যোগাযোগ থাকলেও অঞ্চল দুটির মধ্যে আনুষ্ঠানিক কোনও চুক্তি স্বাক্ষর হয়নি।