টেকনাফে র‌্যাবের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৩

71

কক্সবাজারের টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে তিন মাদক কারবারি নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। শনিবার রাত ১২টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের পাহাড়ি এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, কক্সবাজার সদরের চৌধুরীপাড়ার গবি সুলতানের ছেলে দিল মোহাম্মদ (৪২), একই এলাকার মোহাম্মদ ইউনুছের ছেলে রাশেদুল ইসলাম (২২) ও লোহাগাড়ার আমিরাবাদের মাস্টার হাট এলাকার আবুল কাসেমের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪২)।
র‌্যাবের দাবি, ঘটনাস্থল থেকে এক লাখ ৪০ হাজার পিস ইয়াবা, চারটি দেশীয় বন্দুক (এলজি) ও ২১ রাউন্ড তাজা কার্তুজ জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় র‌্যাবের দুই সদস্য আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন, সৈনিক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর (৩২)ও কনস্টেবল মোহাম্মদ সোহেল (২৮)। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
বন্দুকযুদ্ধে তিনজন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চত করেছেন র‌্যাব-১৫-এর টেকনাফ ক্যাম্পের ইনচার্জ লে. মির্জা শাহেদ মাহতাব।
তিনি দাবি করেন, শনিবার গভীর রাতে একদল ইয়াবা কারবারি ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের পাহাড়ি ঢালা নামক এলাকায় ইয়াবার একটি বড় চালান পাচার করছে, এমন খবর পাওয়া যায়। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমিসহ র‌্যাবের একটি বিশেষ দল ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করি। এ সময় র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সেখানে থাকা অস্ত্রধারীরা গুলি ছুড়তে শুরু করে। র‌্যাব সদস্যরা পাল্টা গুলি ছোড়ে। ওই সময় র‌্যাবের দুই সদস্য আহত হন। একপর্যায়ে অস্ত্রধারীরা পিছু হটলে ঘটনাস্থলে মাদক কারবারি ওই তিনজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। র‌্যাব সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শংকর চন্দ্র দেবনাথ গুলিবিদ্ধ তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শংকর চন্দ্র দেবনাথ জানান, রাতে র‌্যাব সদস্যরা গুলিবিদ্ধ তিনজনকে নিয়ে আসেন। তাদের শরীরে একাধিক গুলির চিহ্ন ছিল। এছাড়া আহত র‌্যাব সদস্যদের চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।
লে. মির্জা শাহেদ মাহতাব আরও বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতরা দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। ঘটনাস্থল থেকে এক লাখ ৪০ হাজার পিস ইয়াবাসহ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে এবং মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।