টাইফুন হাগিবিসের আঘাতে জাপানে ১৯ জনের প্রাণহানি

42

টাইফুন হাগিবিসের আঘাতে লÐভÐ জাপানের ইজু উপদ্বীপ। বিধ্বংসী এ ঝড়ের আঘাতে এরই মধ্যে উপকূলীয় এলাকায় অন্তত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও ১৬ জন। রবিবার ১৩ অক্টোবর এই তথ্য জানিয়েছে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি। শনিবার (১২ অক্টোবর) জাপানের স্থানীয় সময় রাত ৮টায় উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় উপদ্বীপগুলোতে ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার গতিবেগে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় হাগিবিস। ঝড়ের তাÐবে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার ঘরবাড়ি।
ফুকুশিমা, ইবারাগি ও মিয়াগিসহ ১২টি শহরে ইতোমধ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দপ্তর। বাতিল হয়ে গেছে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক কয়েক হাজার ফ্লাইট। বন্ধ রয়েছে ট্রেন যোগাযোগও। টাইফুনের কবলে জাপানে চলা আন্তর্জাতিক রাগবি বিশ্বকাপে শনি ও রোববার সব ম্যাচ বাতিল করা হয়েছে।
ঝড়ের প্রভাবে টানা বৃষ্টি হওয়ায় কিছু এলাকায় বন্যা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে দেশটির আবহাওয়া সংস্থা। কিছু শহরে এরই মধ্যে জলাবদ্ধতায় আটকে পড়েছে প্রায় তিন শতাধিক মানুষ। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করছে স্থানীয় প্রশাসন। রবিবার আবহাওয়া সংস্থার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ঝড়টি ক্রমেই আরও বেশি গতিসঞ্চার করে জাপানের পূর্বউপক‚লের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে ঝড়টির গতিবেগ ঘণ্টায় ২২৫ কিলোমিটার। এখনো যারা আশ্রয়কেন্দ্রে যায়নি তাদের জরুরিভিত্তিতে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। পাশাপাশি আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। টাইফুন হাগিবিস মোকাবিলায় সবধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জাপান সরকার।
বলা হচ্ছে- বিগত ৬০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় এটি। এর আগে, ১৯৫৮ সালে সবশেষ শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘ক্যানোগাওয়া’ আঘাত হেনেছিল জাপান উপকূলে। সেসময়, প্রায় ১২শ’ মানুষ নিহত ও নিখোঁজ হয়েছিলেন। গত মাসেও টাইফুন হেক্সাইয়ের আঘাতে জাপানের কিছু এলাকার প্রায় ৩০ হাজার ঘরবাড়ি ও স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে, ঝড়টি তেমন শক্তিশালী ছিল না। বাংলানিউজ