জিনজিয়াংয়ে ‘গণহত্যা’ হচ্ছে

10

চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে উইগুর ও অন্য সংখ্যালঘু মুসলমান জনগোষ্ঠীর ওপর দীর্ঘদিন ধরে চলা নির্যাতন-নিপীড়নের মূল্য উদ্দেশ্য জাতিগত গণহত্যা। চীনা কর্তৃপক্ষ এসব সংখ্যালঘু মুসলমান জনগোষ্ঠীর নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি এবং জীবনাচরণ নির্মূল করার উদ্দেশ্যে তাদের বন্দিশিবিরে আটকে রাখছে, যা অত্যন্ত নির্মম। এছাড়া, অন্য তথ্য-প্রমাণ বলছে, উইগুরদের জোর করে বন্ধ্যা করে দেওয়াসহ তাদের জনসংখ্যা কমাতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে চীন।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) করা একটি তদন্ত প্রতিবেদন এবং জেমসটাউন ফাউন্ডেশনের বিশেষজ্ঞ অ্যাড্রিয়ান জেনজের নতুন একটি গবেষণা প্রতিবেদন এসব তথ্য জনসমক্ষে আনে। নতুন তথ্য-প্রমাণ বলছে, জিনজিয়াংয়ের উইগুর ও অন্য সংখ্যালঘু মুসলমান জনগোষ্ঠীর জনসংখ্যা কমাতে নারীদের জরায়ুতে আইইউডি (ইন্ট্রা-ইউটেরিন ডিভাইস) স্থাপন করা হচ্ছে, জোরপূর্বক সার্জারি করে তাদের বন্ধ্যা করে দেওয়া হচ্ছে, এমনকি অনেকক্ষেত্রে গর্ভপাতও করানো হচ্ছে। যেসব নারী একাধিক সন্তান নিচ্ছে, তাদের বন্দিশিবিরে আটক করে রাখা হচ্ছে।
ফাঁস হওয়া কিছু নথি থেকে জিনজিয়াংয়ের কারাকাক্স কাউন্টির বন্দিশিবিরে আটক ৪৮৪ জনের তথ্য জানা যায়। তাদের মধ্যে ১৪৯ জনকে বেশিসংখ্যক সন্তান নেওয়ায় আটক করা হয়েছিল। এটি আটক করার জন্য খুব সাধারণ একটি কারণ। এ বন্দিশিবিরগুলোকে ‘কারিগরি শিক্ষালয়’ বলে দাবি করে চীনা সরকার। এপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোটা অংকের জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে বেশিসংখ্যক সন্তান নেওয়া নারী-পুরুষদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে বন্দিশিবিরে আটক করে কর্তৃপক্ষ।