জাতিসংঘের উদ্বেগ মারিব শহরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে হুথি বিদ্রোহীরা

14

ইয়েমেন সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন সর্বশেষ উত্তরাঞ্চলীয় শক্ত ঘাঁটির দিকে হুথি বিদ্রোহীদের অগ্রসর হওয়া নিয়ে ‘প্রচন্ডরকমের উদ্বেগ’ জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক প্রধান মার্ক লৌকক। তার আশঙ্কা, সেখানকার ২০ লাখ বেসামরিক নাগরিকের ঝুঁকির মুখে পড়বে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২০১৫ সালে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদিকে উচ্ছেদ করে রাজধানী দখলে নেয় ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা। সৌদি রাজধানী রিয়াদে নির্বাসনে যেতে বাধ্য হন হাদি। হুথিদের ক্ষমতা দখলের পর থেকেই হাদির অনুগত সেনাবাহিনীর একাংশ হুথিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। ২০১৫ সালের মার্চে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে মিত্রদের নিয়ে ‘অপারেশন ডিসাইসিভ স্টর্ম’ নামে সামরিক অভিযান শুরু করে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। তেল ও গ্যাস সম্পদের কারণে মারিব অঞ্চলটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। গত কয়েক বছরে ইয়েমেনের বিভিন্ন অঞ্চলে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়লেও সৌদি সীমান্তবর্তী অঞ্চল মারিব ২০২০ সালের শুরু পর্যন্ত এর থেকে মুক্ত ছিল। আর সেকারণে যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকাগুলোর অনেক মানুষই শহরটিতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তবে গত বছর থেকে মারিবও সংঘর্ষ কবলিত হয়ে পড়ে। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি’র প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সোমবার রাতভর সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের পর হুথি বিদ্রোহীরা মারিবের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হতে পারে। মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক সহকারী মহাসচিব মার্ক লৌকক মঙ্গলবার ইয়েমেন পরিস্থিতি নিয়ে একটি টুইট করেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, মারিবে অভিযান চালানো হলে লাখ লাখ মানুষের জীবন বিপন্ন হবে, অনেকে শহর ছেড়ে অন্যত্র পালাতে বাধ্য হবেন। সব মিলে ‘অকল্পনীয় মানবেতর পরিস্থিতি’ তৈরি হতে পারে। লৌকক আরও লিখেছেন, ‘এখন সংঘাত কমানোর সময়, ইয়েমেনের মানুষের দুর্দশা বাড়ানোর সময় নয় এখন।’