চন্দ্রঘোনা খ্রিস্টান হাসপাতালের ধসে যাওয়া সড়কে অবশেষে ব্লক স্থাপন

180

চন্দ্রঘোনা খ্রিস্টানা হাসপাতাল সড়ক রক্ষায় কর্ণফুলীর পাড়ে অবশেষে ব্লক স্থাপন করা হয়েছে। সাম্প্রতিক বর্ষার টানা বর্ষণে এ সড়কটি রক্ষায় স্থাপিত ব্লক ধসে সড়কটির যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। অথচ গত এক বছর আগে সড়কটি রক্ষায় এখানে কোটি টাকা ব্যয়ে ব্লক স্থাপিত হলেও নিম্নমানের কাজের কারণে তা ধসে গিয়েছে। বিষয়টি উল্লেখ করে জাতীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রচারের পর এখানে পুনরায় ব্লক স্থাপন করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এবার ব্লক স্থাপনের পাশাপাশি সড়কটি টেকসই করতে জিআর ব্যাগও দেওয়া হয়েছে এবং সড়কটি চলাচলের উপযোগী করে তুলা হয়েছে। এ কাজে আবারও ব্যয় হয়েছে প্রায় কোটি টাকা। তবে এবার কাজের মান অক্ষুন্ন রেখে ব্লক স্থাপন করায় সড়কটি টেকসই হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে ব্লক স্থাপন করে সড়কটি পুনরায় চালু হওয়ায় এই পথে যাতায়তকারী জনসাধারণের দুর্ভোগের অবসান হয়েছে। নদী ভাঙ্গনের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পেয়েছে পাশ্ববর্তী খ্রিস্টিয়ান হাসপাতাল সহ বিভিন্ন স্থাপনা। সরেজমিনে গিয়ে ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, চন্দ্রঘোনা খ্রিস্টিয়ান হাসপাতাল সংলগ্ন কর্ণফুলী নদী পাড়ের সাথে আরসিসি ঢালাই এ সড়কটি চন্দ্রঘোনা দোভাষী বাজার থেকে পেপারমিল পর্যন্ত ২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য। এই সড়ক পথে প্রতিদিন শত মানুষ হাসপাতালে আসা যাওয়াসহ দোভাষী বাজার, লিচুবাগান হয়ে চট্টগ্রাম শহরে এবং আশেপাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করেন। জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি কর্ণফুলীর পাড়ে হওয়ায় প্রতিবছর এটি ধেবে গিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার সৃষ্টি হয়। গত বছর এই পরিস্তিতিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড কোটি টাকা ব্যয়ে ব্লক স্থাপন করলেও চলতি বছরের ভারি বর্ষণে তা আবারও ধসে গিয়ে সড়কে চলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। এই নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চরম অসন্তোষ বিরাজ করে। বিষয়টি উল্লেখ করে বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়। আবারও কোটি টাকা ব্যয়ে এবং আরও টেকশই করে সড়ক সহ নদী ভাঙ্গন টেকাতে স্থাপন করা হয় ব্লক ও জিআর ব্যাগ। এদিকে সড়কটি পুনরায় সংস্কার করে চালু হওয়ায় স্থানীয়রা সন্তোষ্টি প্রকাশ করেছেন। স্থানীয় আবুল হোসেন জানান, সড়কটি খুবই জনগুরুত্বপূর্ণ। এই সড়ক দিয়ে স্কুলের শত শিক্ষার্থী ও চন্দ্রঘোনা বেপ্টিস্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে থাকে। দূর দূরান্ত থেকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন রোগীরা। সড়কটি ব্লক ধসে যাওয়ায় মানুষ চরম দুর্ভোগে মুখে পড়ে। তবে এটি পুনরায় ব্লক স্থাপন করে চালু করায় মানুষের এ ভোগান্তির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন। চন্দ্রঘোনা খ্রিস্টিয়ান হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার প্রবীর খিয়াং জানান, সড়কটির মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পুনরায় ব্লক স্থাপন করে রক্ষা করায় তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হক বেবী জানান, সড়কটি রক্ষার্থে ব্লক নির্মাণ জরুরী ছিল। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করলে তারা দ্রুততার সহিত পুনরায় ব্লক স্থাপন করেছেন। এজন্য তাদের ধন্যবাদ জানায়। তারা জানিয়েছেন কাজের মান অক্ষুন্ন রেখে ব্লক স্থাপন করা হয়েছে এবং সড়কটি টেকসই হবে। দৃষ্টিনন্দন কর্ণফুলীর পাড়ে স্থাপিত ব্লকে প্রাকৃতিক শীতল পরশ উপভোগ্য হওয়ায় প্রতিদিন বিকালে সাধারণ মানুষ এখানে বসে কর্ণফুলীর মনমাতানো ঢেউ ও প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগে চলে আসেন।