চন্দ্রঘোনা খ্রিস্টান হাসপাতাল সড়ক ব্লকের ধস, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

82
চন্দ্রঘোনা খ্রিস্টান হাসপাতাল সড়ক রক্ষায় কর্ণফুলীর পাড়ে স্থাপিত ব্লক ধসে গিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড কোটি টাকা ব্যয়ে এই ব্লক স্থাপনের বছর না পেরুতেই এমন পরিস্থিতিতে এ সড়ক পথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। নি¤œমানের কাজের কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা যায়। সড়কটি বিচ্ছিন্ন হওয়ায় এই সড়ক পথে যাতায়াতকারী শত শত পথচারী চরম দুর্ভোগে পড়েছে। হাসপাতালে আসা সাধারণ রোগী থেকে শুরু করে কর্ণফুলী পেপারমিলের শ্রমিক ও স্কুল-কলেজ গামী শিক্ষার্থীরা চরম ঝুঁকিতে বাধ্য হয়ে এ পথে চলাচল করছে। সড়কের তলদেশ থেকে মাটি সড়ে যাওয়ায় সড়কটি ধসে গিয়ে যেকোন মুহুর্তে বড় দুর্ঘটনার আশংকা দেখা দিয়েছে। তাই জনস্বার্থে সড়কটি রক্ষায় টেকসই ব্লক স্থাপনের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চন্দ্রঘোনা খ্রিস্টিয়ান হাসপাতার গেইট থেকে পেপারমিল গেইট পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এ সড়ক। এ সড়ক পথে প্রতিদিন হাজার হাজার রোগী হাসপাতালে আসেন এবং পেপারমিলের শ্রমিক থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজের হাজার হাজার শিক্ষার্থী এ পথে যাতায়াত করেন। এছাড়াও এ অঞ্চলের হাজার হাজার বসবাসকারী জনসাধারণ প্রতিদিন চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান ও দোভাষীবাজার আসা-যাওয়া করেন। গত বছরের টানা বর্ষায় সড়কের খ্রিস্টিয়ান হাসপাতাল গেইট এলাকায় ধসে যায়। পরে স্থানীয়দের দাবীর মুখে পানি উন্নয়ন বোর্ড সড়কটি সংস্কার করে তা রক্ষায় কর্ণফুলীর পাড়ে কোটি টাকা ব্যয়ে বøক স্থাপন করেন। কিন্তু নি¤œমানের কাজের কারণে বøক স্থাপনের বছর না পেরুতেই তা ধসে গিয়ে কর্ণফুলীতে নদীতে পড়ে গেছে। এতে সড়কটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে চলমান বর্ষায় যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এতে চরম বিপাকে পড়ে এ সড়ক পথে যাতায়াতকারী জনসাধারণ। চন্দ্রঘোনা পাহাড়িকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা লাভলি বড়–য়া জানান, এ সড়ক দিয়ে আমাদের স্কুলের শত শিক্ষার্থী ও চন্দ্রঘোনা বেপ্টিস্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে থাকে। সড়কটি বøক ধসে যাওয়ায় এখন যাতায়াত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চন্দ্রঘোনা খ্রিস্টিয়ান হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার প্রবীর খিয়াং জানান, সড়কটি রক্ষার্থে গত বছর পানি উন্নয়ন বোর্ড কোটি টাকা খরচ করে বøক স্থাপন করে। বছর না যেতেই ব্লকগুলো কর্ণফুলী নদীতে ধসে যায়। সড়কটি এখন মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। এটি বন্ধ হলে হাসপতালে রোগী আনা-নেওয়াসহ সার্বিক কার্যক্রমে চরম বিপর্যয় দেখা দেবে। চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হক বেবী জানান, সড়কটি রক্ষার্থে ব্লক নির্মাণ জরুরী হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের অবহিত করেছি। আশা করি দ্রুত জনস্বার্থে ধসে যাওয়া ব্লক পাউবি পুনরায় স্থাপন করে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ দ্রুত লাঘব হবে।