চন্দনাইশে অপরিকল্পিতভাবে কৃষিজমি ভরাট ও স্থাপনা তৈরি

101

চন্দনাইশে কমছে আবাদি কৃষিজমির পরিমাণ। উপজেলার কৃষিজমি ভরাট করে লাগামহীনভাবে গড়ে উঠছে পাকা স্থাপনাসহ গৃহ নির্মাণ। কয়েক বছর আগেও যে জমিতে আউশ, আমন, বোরোধান ও রবি মৌসুমে বিভিন্ন জাতের চাষাবাদ হতো। সে জমিতে এখন গড়ে উঠেছে আবাসিক ও বাণিজ্যিক বহুতল ভবন। বিশেষত সড়কের পাশে আবাদি কৃষিজমি ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণের হিড়িক পড়েছে। এতে ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তার হুমকি আর পরিবেশ বিপর্যয়েরও আশঙ্কা করছেন পরিবেশবিদরা। চন্দনাইশ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কৃষি কর্মকর্তা স্মৃতি রানী সরকার বলেছেন, চন্দনাইশে প্রতি বছর কৃষি জমিতে স্থাপনা নির্মাণ করার কারণে হ্রাস পাচ্ছে ফসলি জমি। কৃষিজমি চলে যাচ্ছে অকৃষি খাতে। সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছর দেশে এক শতাংশ হারে কৃষিজমি হ্রাস পাচ্ছে। তবে ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন তথা লাগামহীনভাবে কৃষিজমি ধ্বংসের যে প্রবণতা তাতে পরিমাণ আরো অধিক হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চন্দনাইশে আবাদি কৃষিজমির মধ্যে দুই ফসলি এমন কী তিন ফসলি জমিও রয়েছে। এ উপজেলায় কৃষি ভান্ডার নামে খ্যাত শঙ্খনদীর তীরবর্তী এলাকায় এক সময়ে প্রচুর সংখ্যক খাদ্যশস্য উৎপাদন হতো। কিন্তু সম্প্রতি এ সকল কৃষিজমিতে স্থপনা নির্মাণের কারণে স্থান পাচ্ছে ইটের ঘর। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চন্দনাইশে মোট কৃষিজমির পরিমাণ ৩৩ হাজার ৩শ ৩০ হেক্টর। চন্দনাইশ পৌরসভার মেয়র মাহাবুবুল আলম খোকা বলেছেন, কৃষিজমি ভরাট করলেও কেউ কোনো অনুমতি নিচ্ছেন না। তাছাড়া অনেক কৃষিজমির টপসয়েল কেটে নষ্ট করছে কৃষিজমি। তবে ইমারত স্থাপন বা বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে অনুমতি নেওয়া উচিত। উপজেলার বিভিন্ন সড়কের পাশে কৃষিজমি ভরাট করে বাড়িঘর ও নানা স্থাপনা তৈরি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এ ব্যাপারে সিনিয়র আইনজীবী এড. রফিক আহমদ জানান, কৃষিজমি সুরক্ষা আইন যথাযথভাবে কার্যকর না হওয়ার কারণে অপরিকল্পিতভাবে কৃষিজমি ভরাট ও স্থাপনা তৈরি হচ্ছে। তবে এসব বিষয়ে জনসচেতনতার প্রয়োজন বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।