গণতন্ত্র সূচকে আট ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ

16

বিরোধী দলের অভিযোগের মধ্যেও গণতন্ত্র সূচকে আরো এগিয়েছে বাংলাদেশের অবস্থান। ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) সর্বশেষ গণতন্ত্র সূচকে (২০১৯ সালের) ৫ দশমিক ৮৮ স্কোর নিয়ে আট ধাপ এগিয়ে ৮০তম স্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। এর আগের বছর বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৫ দশমিক ৫৭, আর অবস্থান ছিল ৮৮তম। ইআইইউর সূচকে দেখা গেছে, তালিকার উপর এবং নিচের দিক খুব একটা পরিবর্তন না হলেও বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশের অবস্থানের ‘উল্লখযোগ্য অগ্রগতি’ হয়েছে।
আট ধাপ এগোলেও সূচকে এখনো প্রতিবেশী ভারতের চেয়ে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। যদিও নতুন সূচকে ভারতের ১০ ধাপ পিছিয়ে ৫১তম অবস্থানে (৬ দশমিক ৯০ স্কোর) রয়েছে।
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ভারতের এই পতনের পেছনে ক্ষয়িষ্ণু নাগরিক স্বাধীনতাকে প্রাথমিক কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
এতে বলা হচ্ছে, ভারতে নাগরিকদের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হওয়ার বিষয়টি মূলত সামনে এসেছে গতবছর জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর। খবর বিডিনিউজের
এছাড়া আসামের নাগরিকপঞ্জীও (এনআরসি) এতে ভূমিকা রেখেছে। চূড়ান্ত তালিকা থেকে রাজ্যটির যে ১৯ লাখ নাগরিক বাদ পড়েছে। ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের দাবি, বাদপড়াদের বেশিরভাগই বাংলাদেশি অভিবাসী। যদিও বাংলাদেশ শুরু থেকেই ভারতের দাবি নাকচ করে আসছে।
এরপর নতুন নাগরিকত্ব আইন দেশটির মুসলিম জনগোষ্ঠির ক্ষোভ আরও বাড়িয়ে দেয়। যার প্রভাবে ভারতের সা¤প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টির শঙ্কা দেখা এবং কয়েকটি শহরে বড় ধরনের বিক্ষোভও হয়।
নতুন গণতন্ত্র সূচকে একেবারে তলানীর দিকে রয়েছে চীন। সংখ্যালঘুদের দমনের মাত্রা বাড়তে থাকা দেশটির অবস্থান ১৫৩ স্থানে (স্কোর ২. ২৬)। সংখ্যালঘু মুসলিম নাগরিকদের ধরপাকড় আর নাগরিক স্বাধীনতা খরব করার মতো ঘটনার ব্যাপকতার কারণে চীনের পয়েন্ট কমাতে ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করছে ইআইইউ।
আর ২০১৯ সালে সার্বিকভাবে বৈশ্বিক গণতন্ত্র সূচকের স্কোরও কমেছে। ২০১৮ সালে এই স্কোর ছিল ৫ দশমিক ৪৮, ২০১৯ সালে তা কমে ৫ দশমিক ৪৪ হয়েছে।
ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বলছে, ২০০৬ সালে সূচক প্রকাশের পর থেকে এটাই সবচেয়ে বাজে স্কোর।